২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে ওঠা মোদী ঝড় সত্ত্বেও বিজেপি বহু কষ্টে এ রাজ্যে ২টি আসন পেয়েছিল। বাংলার সেই ২ বিজেপি সাংসদের একজন তিনি। জিতেছিলেন পাহাড় থেকে। শুধু তাই নয়, ভোটে জিতে তিনি হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। এহেন সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়াকে ২০১৯-এ লোকসভার টিকিটের জন্য ঘুরতে হচ্ছে দোরে দোরে। জানা গেছে, তিনি বার বার ফোন করলেও ফোন ধরছেন না রাজ্য বিজেপির নেতারা। পরিস্থিতি এমনই যে টিকিট পেলে যে কোনও আসন থেকেই তিনি লড়তে রাজি বলে কার্যত ঘোষণা করে দিয়েছেন এই বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা।
এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, হঠাৎ কেন এমন দশা হল মন্ত্রীমশাইয়ের? বিজেপি সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত প্রায় মাস খানেক আগে। তিনি কোন আসনে লড়তে চান তা আলুওয়ালিয়ার কাছে জানতে চান বিজেপির রাজ্য নেতারা। জবাবে আলুওয়ালিয়া বলেন, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলে তা জানাবেন তিনি। মুখে এমন কথা বললেও শাহের কাছে কিন্তু অন্য রাজ্য থেকেই লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন আলুওয়ালিয়া। কারণ তিনি আগেই টের পেয়ে গেছেন যে, এবার আর এ রাজ্য থেকে জিতে দিল্লী যাওয়া হবে না তাঁর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে অন্য রাজ্য থেকে টিকিট দেয়নি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এরই মধ্যে প্রায় শেষ পর্যায়ে বাংলায় বিজেপি প্রার্থী ঝাড়াই বাছাইয়ের কাজ। শাহের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে শেষে ফের বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে ফোন করতে শুরু করেন আলুওয়ালিয়া। তবে এখন আর তাঁর ফোন ধরছেন না ক্ষুব্ধ রাজ্য নেতারা। পরিস্থিতি এমনই যে বাংলার যে কোনও আসন থেকে তিনি লড়তে রাজি বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রা বাংলার প্রার্থী খুঁজতে হাজার হাজার নাম ঝাড়াই বাছাই করেলেও আলুওয়ালিয়ার নাম কিন্তু মুখেও আনছেন না। ফলে পাহাড়ে গতবারের জয়ী সাংসদ এবার খোদ তাঁর দলের মধ্যেই ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন।