“এলো রে এলো, হোলি এলো রে, রঙে রঙে মন প্রাণ রাঙা হল রে”—
দোল মানেই রঙিন উৎসব, দোল মানেই শান্তিনিকেতন৷ তবে সবাই তো শান্তিনিকেতনের দোল উৎসবে সামিল হতে পারে না, আক্ষেপ থেকেই যায়৷ তাই কোরক’ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে এক টুকরো শান্তিনিকেতন উঠে এল বাঁকুড়া শহরে।
সকাল থেকেই ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের গন্তব্য হয়ে উঠেছিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরা সুকুমার উদ্যান। আয়োজক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বসন্ত উৎসবে শান্তিনিকেতনী পরিবেশ তুলে ধরতে এখানেও ছাতিম গাছের তলায় খোলা আকাশের নিচে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনেকে চাইলেও নানা কারণে শান্তিনিকেতনে উপস্থিত হতে পারেন না।
আয়োজকদের পক্ষে সুষ্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাণ্ডে বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারী সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশ থেকে তুলে আনা। যারা শুধুমাত্র অর্থের অভাবে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি চর্চার সুযোগ পায়নি। তাদের গত এক মাস ধরে কোরকের পক্ষ থেকে নিয়মিত তালিম দেওয়া হয়েছে। তার পর আজ সবাই মিলে আমরা বসন্ত উৎসবে মিলিত হয়েছি।
একদিকে যেমন বাঁকুড়ায় বসে শান্তিনেকতনের বসন্ত উৎসবের স্বাদ উপহার দেওয়ার চেষ্টা তেমনি অন্যদিকে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদেরও এই উৎসবের সাথী করে তোলা এই অনুষ্ঠানের অন্যতম মূল উদ্দেশ্য। এখানে যেমন ধর্মের ভেদাভেদ নেই, তেমনি বয়সেরও কোন সীমা নেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলে মিলে একসাথে বসন্ত উৎসবের স্বাদ চেটে পুটে নিতে সকাল থেকেই হাজির এখানে। প্রত্যেকেই আবীর আর পলাশে রাঙ্গিয়ে নিয়েছেন নিজেদের। সব মিলিয়ে কোরকের সৌজন্যে বসন্ত উৎসব উপলক্ষ্যে জমজমাট বাঁকুড়ার প্রতাপবাগান সুকুমার উদ্যান।