সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুই বদলে যায়। তেমনভাবেই বিশ্ব ফুটবলের ছবিটাও বদলাচ্ছে। বিগত ১০ বছরে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিবৃত্তান্ত দেখলেই বোঝা যাবে ইতালি,স্পেন, জার্মানি দলগুলির রমরমা।
কিন্তু এ বারের গল্পটা অন্য। এ বার শেষ আটের লড়াইয়ে চারটিই ব্রিটিশ ক্লাব। লিভারপুল, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহ্যাম হটসপার।
গত দশ বছরে ইংল্যান্ডের ক্লাব হিসেবে একমাত্র চেলসির হাতেই কাপ উঠেছে।
এবারের ছবিটা হয়তো আলাদা হতে চলেছে। গত ১০ বছরে চারবার ট্রফি পেয়েছে রিয়েল মাদ্রিদ। তিনবার ট্রফি উঠেছে মেসিদের হাতে। একবার করে ইন্টারমিলান, বায়ার্ন মিউনিখ ও চেলসি ইউরোপের সেরা ক্লাবের স্বীকৃতি পেয়েছে। স্প্যানিশ ক্লাব বলতে একমাত্র বার্সা। ইতালির ক্লাব জুভেন্টাস।
বিগত কয়েক বছর ধরে বিশ্ব ফুটবলে দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করেছে স্পেন ও জার্মানি। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলোর ছবিটা ছিল কিছুটা আলাদা। প্রথম সারির বেশিরভাগ ফুটবলারই বাইরের। তার সঙ্গে সেই সময় ইংল্যান্ডে তরুণ প্রতিভা সেভাবে উঠে আসছিল না।
ইংল্যান্ডে নতুন করে উঠে আসছে থ্রি লায়ন্সরা। বিশ্বকাপে দুরন্ত খেলেছেন হ্যারি কেনরা। সেমি ফাইনালে হারলেও অনেক দিন পর মনে হয়েছে, এই দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষমতা রাখে। বিশ্বের সব লিগগুলো দেখলে বোঝা যাবে ইংল্যান্ডের লিগে ঠিক কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ইংল্যান্ডের ইউথ সিস্টেম এখন বিশ্বে সবথেকে ভালো। সেটার পরিচয় দেখা গিয়েছে অনুর্ধ ১৭ বিশ্বকাপে। তাই মাঠে ইংল্যান্ড এখন নিজের সেরাটা দেখাতে পারে। এ বছর চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বকণিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোল করেছেন ফিল ফডেন।