স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখের জীবন ছিল রূপালির। তবে গত সরস্বতী পুজোটা স বদলে দিয়েছে। নিজের পাড়াতে পুজোর উদ্বোধনে গিয়েই আততায়ীর গুলিতে নিহত হন কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাস। তারপরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রুপালি এসেছে রাজনীতির ময়দানে। এবারের ভোটে রানাঘাটের প্রার্থী তিনিই। ইতিমধ্যেই প্রচারেও নেমে পড়েছেন তিনি।
রূপালি মাটিকুমড়ায় মতুয়াদের ডাকা সভায় গিয়ে তাঁর প্রচার শুরু করেন। সেখানে তিনি ঠাকুর হরিচাঁদ গুরুচাঁদকে প্রণাম জানিয়ে বলেন, ‘দিদি আমাকে যে গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালন করবার জন্য আমি লড়াইয়ের ময়দানে। আমার স্বামী মাত্র এক মাস হল খুন হয়েছেন। এর মধ্যে আমাকে রাস্তায় নামতে হয়েছে। কারণ আমার স্বামীর মতো আমি আপনাদের সেবা করতে চাই। দিদির উন্নয়নের কাজে শামিল হতে চাই। আশা করি আপনাদের আশীর্বাদ আমার মাথায় আসবে। মতুয়া সভায় অংশ গ্রহণ করে প্রচার শুরু করার পর মিছিলে অংশ নেন।’
হাঁসখালি ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বলেন, ‘আমাদের এমনিতে বাড়িতে বাড়িতে প্রচার শুরু হয়েছে। রবিবার ব্লক কোর কমিটির বৈঠক ডেকেছি। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কবে কোথায় প্রার্থীকে দিয়ে প্রচার করা শুরু হবে। তবে সত্যজিৎ এখানে জনপ্রিয় নেতা ও বিধায়ক ছিলেন। তাঁর খুনের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। তাঁরা ভোটের মাধ্যমে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত। রানাঘাট থেকে শান্তিপুর সব জায়গায় তৃণমূলের দেওয়াল লেখার কাজ প্রায় শেষ।
অন্য যে কোনও দলের তুলনায় প্রচারে যে তৃণমূল অনেক এগিয়ে তা রানাঘাট লোকসভার যে কোনও জায়গায় গেলে বোঝা যায়। দেওয়াল লেখা থেকে প্রচার সব কিছু তৃণমূল শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে রূপালির হয়ে প্রচারের কাজে নেমে পড়েছেন মন্ত্রী রত্না ঘোষ ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু ও সহসভাপতি দীপক বোস–সহ নেতা কর্মীরা। মতুয়া সভায় খুব অল্প সময়ের জন্য মাইক ধরে রূপালী বলেন, “ঠাকুর হরিচাঁদ-গুরুচাঁদকে প্রণাম জানাই। বড়মাকে শ্রদ্ধা জানাই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা পালন করার জন্য আপনারা আমার পাশে থাকবেন”। তাঁর কথা শেষ হওয়া মাত্র মতুয়া রীতিতে হুলুধ্বনি করে ওঠেন সামনে বসে থাকা মহিলারা।