মমতার রাজ্যে কোথাও কোনও প্রান্তেই কোনও অতি স্পর্শকাতর বুথ নেই। অতি স্পর্শকাতর লোকসভা কেন্দ্রের তাই প্রশ্নও নেই। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে দিল্লীর নির্বাচন কমিশনকে এ কথা সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা এবারই প্রথম। অতি স্পর্শকাতর লোকসভা কেন্দ্রের জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষক পাঠাতে কমিশন এই তথ্য চেয়েছিল। আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে যা রাজ্যের জন্য অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক। কারণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভোটের উপযোগী নয়, এমন বুথ ও কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর ধরে নিয়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের তথ্যে স্পষ্ট হয়ে গেল, বাংলায় এখন শান্তিপূর্ণ পরিবেশই বিরাজ করছে।
তবে অতি স্পর্শকাতর বুথ নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর যে রিপোর্টই পাঠাক, মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরাতে নানা এলাকায় টহলদারির জন্য শুক্রবার প্রথম দফায় রাজ্যে আসছে দশ কোম্পানি বিএসএফ। জানা গেছে, প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির ভোটের জন্য ২৮ মার্চের পরেই চলে আসছে ১১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরে ধাপে ধাপে সেই সংখ্যা বাড়বে। আর মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার আগে সাধারণ পর্যবেক্ষক, হিসেব সংক্রান্ত পর্যবেক্ষক, ভোটার সচেতনতা পর্যবেক্ষক এবং পুলিশ পর্যবেক্ষকরাও চলে আসবেন।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফায় আসা দশ কোম্পানি বিএসএফ ৯ জেলায় পাঠানো হবে। সেগুলি হল কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম। এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দু’কোম্পানি বিএসএফ পাঠানো হবে। বাকি জেলাগুলিতে এক কোম্পানি করে। তাদের রুট মার্চের ভিডিয়ো পুলিশ, পর্যবেক্ষক ও নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হবে। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু বলেন, ‘প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে শুক্রবার। বিভিন্ন জেলায় টহলদারির জন্য এদের পাঠানো হবে। কোথায় মোতায়ন করা হবে সে ব্যাপারে কমিশন থেকে নির্দিষ্ট করে কোনও নির্দেশিকা আসেনি।’
রাজ্যে প্রথম দফায় ভোট ১১ এপ্রিল। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের ওই ভোটের বিজ্ঞপ্তি বেরোবে ১৮ মার্চ। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৮ মার্চ। তারপরে ১১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে। যদিও দুই লোকসভা কেন্দ্রের ভোটে ৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগবে। বাকিটা চলে যাবে দ্বিতীয় পর্যায়ে তিন লোকসভা কেন্দ্র দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জে। সেখানে ভোট ১৮ এপ্রিল। প্রথম পর্যায়ে ভোট শেষে ৯০ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী তিন কেন্দ্রে ভোট করাবে।