ভোট বড় বালাই। দেশের চেয়েও তাই রাজনৈতিক প্রচারই আগে হয়ে যায় কোনও কোনও সময়। বিশেষ করে গেরুয়া শিবিরের ক্ষেত্রে তো বটেই। কারণ বুধবার যখন পাকিস্তান সরকারের টুইটারে ভিডিও দেখিয়ে জানানো হচ্ছে পাক বায়ুসেনার মোকাবিলা করতে আসা এক ভারতীয় পাইলটকে বন্দী করেছে তারা, যখন স্বয়ং ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রকও একপ্রকার মেনে নিয়েছে তা, সেই মুহূর্তেও দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ‘বিজেপি নেতা’র ভূমিকায় অবতীর্ণ। তিনি তখন ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে পার্টির কাজে ব্যস্ত।
আর দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? তিনিও ব্যস্ত। তিনি তখন জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও কনফারেন্স করবেন বিজেপির অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে! আবার মঙ্গলবার গোটা দেশ যখন পাকিস্তানের সঙ্গে তৈরি হওয়া যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, তখনও মোদী কথা বলছিলেন ভাগবত গীতা নিয়ে! বুধবার সকাল ১০.৪৫ নাগাদ দূরদর্শনের পেজ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়, যাতে ফেখা যায়, উৎফুল্ল মোদী লঞ্চ করছেন ‘খেলো ইন্ডিয়া অ্যাপ’। অর্থাৎ গোটা দেশে যে সময় জারি করা হচ্ছে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা, সেই সময়ও দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যস্ত নিজেদের ভোট বাড়ানোয়! দেশের নিরাপত্তার বদলে তাঁদের নজর বিজেপির ভোটব্যাঙ্কের দিকেই! এর ফলে এটাই প্রমাণিত যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আদতে কোনও আগ্রহই নেই মোদী অ্যান্ড কোম্পানীর।