পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর যখন জঙ্গী হামলা চলছে ঠিক সেই সময় করবেট ন্যাশনাল পার্কে শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকী হামলার খবর পাওয়ার পরেও বন্ধ হয়নি শুটিং। প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ আনল কংগ্রেস।
দিল্লীতে এক সাংবাদিক বৈঠকে সেই শুটিংয়ের ছবি দেখিয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, ‘হামলা হয়েছিল বিকেল ৩.১০ মিনিটে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রচারমূলক ছবির শুটিং–এ ব্যস্ত ছিলেন সন্ধ্যা ৬.৪০ মিনিট পর্যন্ত। যখন সারা দেশ বিকেল থেকে কাঁদছিল আমাদের জওয়ানদের হারিয়ে, তখনও সন্ধ্যা পর্যন্ত করবেটে তিনি কুমিরদের মধ্যে দাঁড়িয়ে প্রচারমূলক ছবির শুটিং করেছেন। চা, সিঙারা খেয়েছেন। অথচ সারা দেশের ক্ষিদেতৃষ্ণা ভুলে গিয়েছিল’। সুরজেওয়ালার প্রশ্ন, ‘সারা পৃথিবীতে কোথাও এধরনের প্রধানমন্ত্রী আছেন কি?’
গোয়েন্দা বিভাগের সতর্কতা সত্ত্বেও গত ১৪ তারিখের হামলা রুখতে কোনও ব্যবস্থা নিয়েছিল না প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলে দেশের বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেই প্রেক্ষিতে সুরজেওয়ালার প্রশ্ন, ‘কীভাবে জঙ্গিরা এত বিপুল পরিমাণ আরডিএক্স এবং রকেট লঞ্চার জোগার করল। হামলার ৪৮ ঘণ্টা আগে হুঁশিয়ারি দিয়ে ভিডিও প্রকাশ করেছিল জৈশ। এমনকি আট ফেব্রুয়ারি গোয়েন্দা দপ্তর থেকেও হামলার সতর্কতা ছিল। তা সত্ত্বেও ওই সতর্কতাগুলি অবহেলা করা হল কেন। গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় কেন নিলেন না মোদি। মোদি বলেছিলেন নোটবাতিল হলে সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ হবে। তাহলে কেন বন্ধ হল না হামলা। রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হল না কেন।’
সৌদি-পাকিস্তানের যৌথ বিবৃতিতে রাজনৈতিক ইস্যু এড়াতে মাসুদ আজহারের নাম এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে ভারত সফরে এসে মোদীকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলেছেন সৌদি যুবরাজ। সেই নিয়েও মোদীকে ঠুকেছেন সুরজেওয়ালা। তাঁর প্রশ্ন, ‘একজন জঙ্গীকে জঙ্গী ঘোষণা করা কীভাবে রাজনৈতিক ব্যপার হতে পারে। মোদীর কী উচিত ছিল না একটা বন্ধু দেশকে আবেদন করা, যে সেই দেশ যাতে নিজের বক্তব্য সংশোধন করে মাসুদ আজহারকে জঙ্গী ঘোষণা করার ভারতের দাবিকে সমর্থন করে’।