বাংলার শৈলশহরের প্রাণকেন্দ্র নতুন সাজে সেজে উঠবে এই এপ্রিলেই। দার্জিলিঙে এসেছেন, অথচ ম্যালে পা রাখেননি, এমন পর্যটক সম্ভবত খুঁজে পাওয়া যাবে না। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির পাহাড় বলতেই প্রথমে মাথায় আসে দার্জিলিং আর সারাদিনের ঘোরার ক্লান্তি কাটাতে দু’দন্ড বসে আরাম করবার জায়গা ম্যাল।
ম্যাল সাজানোর পরিকল্পনায় প্রথমেই রাখা হয়েছে দার্জিলিঙের আস্তাবলকে ঢেলে সাজা। সেপ্টেম্বরে আস্তাবল ভাঙার কাজও শুরু হয়। এখন এই আস্তাবলে থাকে ১৭টি ঘোড়া। এই ঘোড়াই দার্জিলিং ম্যালের শোভা বাড়ায়। পর্যটকেরা ঘোড়ার পিঠে চড়ে ম্যালে ঘোরেন, ছবি তোলেন। জিটিএ আস্তাবলকে ঢেলে সাজার জন্য ৫০০ মিটার দূরে অস্থায়ীভাবে ঘোড়ার থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুটি ধাপে দার্জিলিং ম্যাল মোট ১৬ কোটিতে সেজে উঠবে। হবে আধুনিক পার্কিং। নতুন করে সাজবে মার্কেটও। ম্যালের হাওয়াঘরও নতুন করে সাজবে। এই হাওয়া ঘরেই নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে, এসব করতে গিয়ে যাতে পরিবেশের কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকটাও দেখা হচ্ছে। জিটিএ–র প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনয় তামাং জানিয়েছেন এপ্রিল মাসই লক্ষ্য।
হাজার হাজার পর্যটকের কথা মাথায় রেখেই ম্যালকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছিল গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর। প্রথম পর্যায়ে এই কাজ আগামী এপ্রিলেই শেষ হবে বলে জানা গেছে। কাজ শেষ হলে ম্যালের পরিধি আরও বাড়বে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই ম্যালকে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা হয়। কাজ শুরুর আগে সেখানে পাঠানো হয়েছিল পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে। এরপরই জিটিএ সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করে।