গত ৯ ফেব্রুয়ারি, শনিবার নদিয়ার মাজদিয়া ফুলবাড়ি এলাকায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাসের। সেদিন এলাকারই একটি সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন বিধায়ক। আবারও পুনরাবৃত্তি ঘটল সেই একই ঘটনার।দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে দলীয় অফিসের মধ্যে কাউন্সিলর মিঠুন টিকাদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বিজেপির দিকেই উঠল আঙুল। অভিযোগ, বিজেপিআশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূল পার্টি অফিসে ঢুকে এই হামলা চালিয়েছে। মিঠুন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দুটি নাম জানিয়েছে। সেই নাম ধরেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সোমবার সন্ধেয় দলীয় অফিসে বসেছিলেন মিঠুন টিকাদার। তখনই অফিসে ঢুকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুই আততায়ী। লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল কাউন্সিলর। গুলি লাগে তাঁর বুকে ও পেটে। তাঁকে উদ্ধার করে নিকটস্থ বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন তৃণমূল কর্মীরা। পরে তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এই গুলিকাণ্ড প্রসঙ্গে বজবজ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত জানান, এর পিছনে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রয়েছে। তবে তিনি আরও জানান, মিঠুন যে নাম বলেছে, তা থেকেই অনুমান বিজেপি এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে। মহম্মদ ক্যাস ও কামাল খান নামে যে দুজনের নাম উঠে এসেছে, তারা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত।