লোকসভা নির্বাচনের আগে বাম-রাম জোট চেয়েছিল মাল্টিপ্লেক্স থেকে সিঙ্গল স্ক্রিনে প্রচার চালাতে। সেই উদ্দেশ্যেই সিনেমার মাধ্যমে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালিগালাজ করা। কুৎসা ছড়ানো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর সম্ভব হল না। জনতার ক্ষোভের আঁচ পেয়ে ‘ভবিষ্যতের ভূত’ ছবির প্রদর্শনী বন্ধ করে দিতে বাধ্য হল হল মালিকেরা।
জানা যাচ্ছে, লোকসভা ভোটের আগে বাংলায় শাসক দলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর উদ্দেশ্যেই গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এই ছবি তৈরি করানো হয়েছে। ঠিক যেভাবে জাতীয় স্তরে ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ বা সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে সিনেমা তৈরি হয়েছে, বাংলাতেও সেভাবেই বিজেপির টকায় তৈরি হয়েছে ‘ভবিষ্যতের ভূত’। পাশাপাশি রিজিওনাল সেন্সর বোর্ডে বিজেপির শর্বরী মুখোপাধ্যায়-সহ আরএসএস ঘনিষ্ঠ সংগঠন সংস্কার ভারতের ৩ সদস্য থাকায় মুহূর্তে পাস হয়ে যায় এই ছবি। অর্থাৎ সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনের প্রত্যেকেই বিজেপির ধামাধরে বসে আছে। তাই এহেন ছবিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
আরও জানা যাচ্ছে, এই সিনেমা তৈরির উদ্দেশ্যই ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালিগালাজ করা। তাই ‘মা-মাটি-মানুষ’ শব্দবন্ধকেও বিকৃত করে বলা হয়েছে ‘মা-মাটি-মাফিয়া’, সারদা-নারদার টাকা খেয়েছে, ছিন্নমূল, ষষ্ঠী মণ্ডলের মাথায় অক্সিজেন কম যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। এভাবে শুধু তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লাখো মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করেছে এই সিনেমার চিত্রনাট্য। এরপরেও সিনেমাটির ছাড়পত্র পাওয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে সুশীল সমাজ। রিজিওনাল সেন্সর বোর্ড বিজেপির ধামাধরা হওয়ায় মুহূর্তে ‘ভবিষ্যতের ভূত’ ছাড়পত্র পেয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশও।
স্বাভাবিকভাবেই এই ছবি দেখার পর রাজ্যবাসীর মনে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা আঁচ করতে পেরেছেন হল মালিকেরা। ফলে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ছবির প্রদর্শনী। যদিও হল কৃতৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ‘প্রযুক্তিগত সমস্যার’ কারণে শো বন্ধ আছে।
