পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাঙ্গাহাঙ্গামা ছড়িয়ে পড়ল জম্মুতে। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় উত্তেজিত জনতা স্লোগান দিতে থাকে। তাদের দিকে একদল লোক পাথর ছোঁড়ে। জনতা কয়েকটি গাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেয়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে আশঙ্কা করে জম্মু শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
জেলাশাসক কার্ফু জারি করার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, জম্মু শহরে শান্তিভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উত্তেজিত জনতা গাড়িতে আগুন লাগাতে পারে। প্রাণহানি ও সম্পত্তিহানি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
জম্মুতে শুক্রবারের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা তাণ্ডব চালাচ্ছিল। তারা অন্তত ১৫-২০ টি গাড়িতে ভাঙচুর করেছে। তাদের দিকে কয়েকজন পাথর ছোঁড়ে। পুলিশ সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়। জম্মুর বাসিন্দারা জানিয়েছেন, উত্তেজিত জনতা অন্তত ৩০ টি গাড়িতে আগুন লাগায়। আরও অনেক গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। কয়েকটি বাড়ির জানলার কাচও ভাঙা হয়। তাদের দিকে একদল লোক পাথর ছোঁড়ে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে আর লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। জম্মুর পাশাপাশি পুঞ্চ শহর থেকেও হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে। সেখানেও উত্তেজিত জনতার দিকে পাথর ছোঁড়া হয়।
এদিন বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ট্রেড ইউনিয়ন জম্মুতে মিছিল করে। পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে মিছিল যায় জুয়েল চৌক, পুরানি মান্ডি, কুনওয়ানি, রেহারি, জানিপুর, গান্ধীনগর, বাকসি নগর, মুথি, তালাও তিল্লু, সাতওয়ারি এলাকায়। মিছিলে সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি ছিল বজরং দল, শিবসেনা ও ডোগরা ফ্রন্টের সমর্থকদের।
জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন এদিন পুলওয়ামার জঙ্গি হানার নিন্দা করে বিবৃতি দেয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন জম্মুর সব আদালতে কর্মবিরতি পালন করেন আইনজীবীরা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র লীলাকরণ শর্মা জানান, জঙ্গি হানার প্রতিবাদে শুক্রবার তাঁরা জম্মুতে বন্ধ পালন করেছেন। তাঁদের দাবি, আমাদের নিরাপত্তারক্ষীরা যাতে এই হামলার বদলা নিতে পারে, সেজন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার তাদের ফ্রি হ্যান্ড দিক।