সদ্য জঙ্গীহানার ঘটনা ঘটেছে দেশে। আর প্রধানমন্ত্রী মোদী গেছেন ভারতের প্রথম হাই স্পিড ট্রেন ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’-এর সূচনা করতে। এখানেই শেষ নয়। এই নতুন ট্রেন চালু হওয়াই নাকি জঙ্গী হামলার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় জবাব। এমনই মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।
রেল মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের বক্তব্য, ‘যেভাবে মুম্বই হামলার পর মুম্বইয়ের মানুষ কাজে যোগ দিয়েছিলেন, নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, সেটা ছিল সেই সময় জঙ্গীদের বিরুদ্ধে সবথেকে বড় জবাব। ঠিক সেভাবেই আজকে ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ চালু করা হলো দেশের মানুষের জন্য। এটাই জঙ্গীদের সবথেকে বড় জবাব। আমাদের জওয়ান বা সাধারণ মানুষ, কেউই জঙ্গীদের কাছে মাথা নত করবে না’।
অর্থ ও রেল মন্ত্রীর এমন জবাব প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশে।
রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই রেল মন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন। জঙ্গী হামলার জবাব কী করে ট্রেন উদ্বোধন করে দেওয়া যায়, সেই প্রশ্নও তুলছে দেশবাসী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, এই ধরণের একটা বড় জঙ্গী হামলার সঙ্গে কীভাবে একটা ট্রেনের উদ্বোধনকে মেলালেন রেলমন্ত্রী। দুটো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। জঙ্গী হামলার জবাব দেওয়া হয় যুদ্ধক্ষেত্রেই। ট্রেন চালু করে নয়। এই মন্তব্য করে জওয়ানদের বলিদানকে রেলমন্ত্রী ছোট করে দেখিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।
আপ নেত্রী অলকা লাম্বা গোটা ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদীর যদি একটু হলেও লজ্জা থাকত, তাহলে তিনি এই ট্রেনের উদ্বোধন কয়েকদিন পিছিয়ে দিতেন। এটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে, দেশের নিরাপত্তার ব্যাপারে তিনি কতটা চিন্তিত’।