
মোদী বিরোধী জোটের কোনও নেতাই প্রধানমন্ত্রীর নাম মুখে আনছেন না। তবে ইঙ্গিত বলে দিচ্ছে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের প্রধান মুখ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলের মধ্যমণি যে ‘বঙ্গাল কি শেরনি’র তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বুধবারে দিল্লীর যন্তর মন্তরের ধর্না মঞ্চে।
এদিন শুরু থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। তিনি বলেন, ‘আজই ছিল সংসদের শেষ দিন। ফলে এই সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র এক মাসের মধ্যেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যাবে। তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। লড়াই করতে হবে।’বাম কংগ্রেসের সঙ্গে রাজ্যের সমীকরণ মাথায় রেখেও জোটের বার্তা দিতে মমতা এ দিন বলেন, ‘রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের লড়াই থাকতে পারে। কিন্তু কেন্দ্রে আমরা সবাই একসঙ্গে লড়ব।’
এদিন যন্তর মন্তরের ধর্না মঞ্চের সকল বক্তাদের মুখে শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর প্রশংসা। শুধু ব্রিগেড সমাবেশের সকলকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা নয়, অন্যান্য নানাবিধ বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোদী বিরোধিতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন যন্তর মন্তরের বক্তারা।
জেডি(এস) দলের পক্ষ থেকে ধর্না মঞ্চে হাজির ছিলেন দানিশ আলি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার এই প্রতিনিধি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বাংলার বাঘিনী’ বলে সম্বোধন করেন। একই কথা বলেছেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ এবং বাজপেয়ী জমানার মন্ত্রী শত্রুঘ্ন সিনহাও।
আপের এই ধর্নায় অরবিন্দ কেজরিওয়াল, চন্দ্রবাবু নায়ডু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, যশবন্ত সিনহা, লোকতান্ত্রিক জনতা দলের নেতা শরদ যাদব, সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদব, রাষ্ট্রীয় লোকদলের তরফে ত্রিলোক ত্যাগী, ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি, অরুণাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
