সঙ্গীতচর্চার আড়ালে বিদেশি মুদ্রা পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগে জড়ালেন জনপ্রিয় পাকিস্তানি সুফি গায়ক রাহাত ফতে আলি খান। তাঁকে শোকজ নোটিস পাঠাল আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়িত্বে থাকা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অভিযোগ, ভারতীয় মুদ্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা এদেশ থেকে অন্যত্র পাচার করেছেন রাহাত। ইডি সূত্রে খবর, এনিয়ে তদন্তকারীদের জেরার মুখে তিনি সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় তাঁকে শোকজ করা হল। যথাযথ জবাব না দিতে পারলে, যে পরিমাণ আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত গায়ক, তার ৩০০ শতাংশ জরিমানা দিতে হবে। অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে জারি হতে পারে লুকআউট নোটিস। ভারতে সুফি গায়কের অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনাও আছে।
ইডি সূত্রে খবর, অন্তত ৩ বছর ধরে ভারত থেকে বিদেশি মুদ্রা পাচারের সঙ্গে যুক্ত রাহাত ফতে আলি খান। ২০১১ সালে দিল্লীতে এক শিল্পপতির বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময় ইডি-র নজরে পড়েন তিনি। অভিযোগ, দিল্লী বিমানবন্দরে তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১ লক্ষ ১৫ হাজার মার্কিন ডলার। কেন এত অর্থ নিয়ে এসেছেন? এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি পাক গায়ক। এমনকি যথাযথ নথিপত্রও দেখাতে পারেননি। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে ফেমা আইনে আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, ভারত থেকে বিদেশি মুদ্রা পাচার করে তিনি নিজে আয় করেছিলেন ৩ লক্ষ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। কেলেঙ্কারির অর্থমূল্য ২ লক্ষ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে আরও খবর, প্রথমদিকে তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করেছিলেন রাহাত ফতে আলি খান। এরই মাঝে তাঁর ম্যানেজার, যিনি মুদ্রা পাচারে গায়ককে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ, তিনি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। এতে তদন্ত ব্যাহত হয়। এরপর অবশ্য ফের শুরু হয় ইডি-র তদন্ত। এবার রীতিমতো কড়া পদক্ষেপ নিল ইডি।