‘হাও ইজ দ্য জোশ?’— সকলের মুখে এখন এই একটাই প্রশ্ন। তা সে বলিউডের তারকাদের মাঝে খোদ প্রধানমন্ত্রী হোক বা অটল-সেতু উদ্বোধনে হাজির প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অসুস্থ মনোহর পারীকর। আমেঠির বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে স্মৃতি ইরানিরও এই এক প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি আসলে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘উরি’ সিনেমার একটি সংলাপ। যা বলার পরই উত্তর আসছে: ‘হাই স্যর।’ সেটিও সংলাপেরই অংশ।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ভিত্তিতে নির্মিত এই ছবির সংলাপকে এখন রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেই বিজেপির জাতীয়তাবাদকে উস্কে দিচ্ছেন মোদী অ্যান্ড কোম্পানি। তাই এবার এর পাল্টা অস্ত্র খুঁজছে কংগ্রেসও। উদ্দেশ্য মোদীর ভাষাতেই মোদীকে জবাব দেওয়া। এ প্রসঙ্গে দলের এক নেতার কথায়, “আমরাও খুঁজে বার করছি পাল্টা সংলাপ— ‘হাও ইজ দ্য জবস?’ অথবা ‘হোয়ার আর দ্য জবস?’ আর এর উত্তর আসবে ‘নো স্যর’।’’ শীর্ষ নেতৃত্ব ছাড়পত্র দিলে শীঘ্রই ‘মুক্তি’ পাবে কংগ্রেসের এই নতুন স্লোগানও। দলের মতে, যে ভাবে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান এখন জনপ্রিয় হয়েছে, তেমনই হাততালি কুড়োবে তাদের নতুন স্লোগান।
ছত্তিসগড়ের জনসভায় দলের তরফে রাহুল গান্ধী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দু’টি ভারত তারা চায় না। এক দিকে গরিব ভারত আর অন্য দিকে নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিদের ভারত। গরিব ভারতে কৃষির সঙ্কট রয়েছে, যুবকদের বেকারি রয়েছে। ‘মোদীর ভারত’-এর বন্ধু শিল্পপতিদের মুনাফার সুযোগ রয়েছে। এমনটা চলবে না। কংগ্রেস নেতারা জানাচ্ছেন, নোটবন্দি আর তাড়াহুড়ো করে রূপায়ণ করা জিএসটির পর বেকারির সঙ্কট আরও বেড়েছে। ক্ষমতায় আসার আগে বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। তার ধারে কাছে তো যেতে পারেননি, উল্টে রোজগার কমেছে। নতুন স্লোগানে এই বিষয়টিকেই তুলে ধরা হবে।
বেকারত্ব আর রোজগার যে মোদীর ‘দুর্বল’ জায়গা, তা জানতে আর বাকি নেই কারও। গত বছরেও সংসদে বেরোজগার নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। সেই সময় ইপিএফও-তে নথিভুক্তকরণ, সংগঠিত-অসংগঠিত ক্ষেত্র, চিকিৎসক-ইঞ্জিনিয়ার-আইনজীবীদের মতো পেশাদার, নতুন গাড়ি কেনা, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিস্তার, মুদ্রা প্রকল্পে জুড়ে এক কোটি নতুন রোজগারের একটি অঙ্ক মিলিয়েছিলেন তিনি। যেটি তাঁর নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতির চেয়ে অনেক কম। কিন্তু এরপরেও তাল ঠুকে তিনি কখনই বলতে পারেননি কত রোজগার হয়েছে। যে কারণে বারবারই বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এবং সেই ধারা এখনও অব্যাহত।