কথায় আছে, আঙুর ফল টক। ঠিক তেমনই হল বিএসপির এক বিধায়কের ক্ষেত্রে। কিছুদিন আগেই মন্ত্রী হওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের বিধায়ক রমাবাই। কিন্তু সেই দাবি পূরণ না হতেই এবার তিনি বললেন, আমার মন্ত্রী না হলেও চলবে। আমি তো সব মন্ত্রীর বাপ।
মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের পরে বিএসপি হয় কিং মেকার। তাদের সমর্থনেই কংগ্রেস সরকার গঠন করে। ‘আমি সব মন্ত্রীর বাপ’ বলে রমাবাই বোঝাতে চেয়েছেন, তাঁদের সমর্থনেই মন্ত্রিসভা টিকে আছে।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশে ভোটের পরেই বার বার খবরের শিরোনামে এসেছেন রমাবাই। তিনি পাথারিয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। ৭ জানুয়ারি তিনি মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের কাছে দাবি করেন, তাঁদের দলের বিধায়ক সঞ্জীব সিং কুশওয়াহাকে মন্ত্রী করতে হবে। তাঁকে করতে হবে প্রতিমন্ত্রী। ২৩ জানুয়ারি তিনি ফের বলেন, কমলনাথ কথা দিয়েছিলেন, বিএসপির বিধায়কদের মন্ত্রী করা হবে। তিনি যদি কথা না রাখেন, মধ্যপ্রদেশেও কর্ণাটকের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে।
কর্ণাটকে কয়েক মাস আগে কংগ্রেসের সমর্থনে সরকার গঠন করে জেডিএস। কিন্তু সম্প্রতি কংগ্রেসের পাঁচ বিধায়ক ‘নিখোঁজ’ হয়ে যান। শোনা যায়, তাঁরা আছেন মুম্বইয়ের এক হোটেলে। বিজেপি নেতারা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁরা কয়েকজন বিধায়ককে ভাঙিয়ে সরকার ফেলে দিতে চান। অন্যদিকে বিজেপিও ভয় পাচ্ছিল, তাদের দু’-একজন বিধায়ককে লোভ দেখিয়ে দলে টানতে পারে কংগ্রেস। রাজ্যের সব বিজেপি বিধায়ককে তাই রাখা হয়েছিল হরিয়ানার এক রিসর্টে।
রমাবাই কমলনাথকে বলতে চেয়েছিলেন, বিএসপির কয়েকজনকে মন্ত্রী না করলে মধ্যপ্রদেশেও কর্ণাটকের মতো অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে। তবে এবার তিনি বললেন, আমাকে যদি মন্ত্রী করা হয়, তাহলে ভাল কাজ করব। যদি মন্ত্রী না করা হয়, তাহলেও কাজ করে যাব। আমি তো সব মন্ত্রীর বাপ। আমিই তো সরকার তৈরি করেছি।
গত বিধানসভা ভোটে মধ্যপ্রদেশে কোনও দল একক গরিষ্ঠতা পায়নি। ২৩০ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস পেয়েছিল ১১৪ টি আসন। বিজেপি পেয়েছিল ১০৯ টি। বিএসপি-র দু’জন, সমাজবাদী পার্টির একজন ও চার নির্দন বিধায়ককে নিয়ে কংগ্রেস সরকার গঠন করে। কিন্তু বিএসপি বা এসপি-র কাউকে মন্ত্রী করা হয়নি। মনে করা হচ্ছে এই কারণেই ক্ষুব্ধ রমাবাইয়ের প্রতিক্রিয়া, তিনি সব মন্ত্রীর বাপ।