নতুন বছরে নতুন রূপে উদয় হলেন প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। আগের ম্যাচেই ফিনিশার ধোনিকে দেখা গিয়েছিল, এই ম্যাচে দেখা গেল অ্যাংকর ধোনিকে। ধোনির এই নবরূপ এবং চাহালের ঘূর্ণিকে সঙ্গে নিয়েই অস্ট্রেলিয়াকে কুপোকাত করল বিরাট বাহিনী।
ভারতের গোল্ডেন ডাবল। গোল্ডেন ডবলটা গোল্ডেন ট্রিপলও হতে পারত যদি নভেম্বরে এই মেলবোর্নেই আয়োজিত টি২০ ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে না যেত। টি২০ সিরিজ অমীমাংসিত হওয়ার পর টেস্ট সিরিজ জিতে নেয় ভারত। তার পর এই একদিনের সিরিজ।
গত বছরটা এক কথায় ভীষণ খারাপ গিয়েছিল তাঁর। কথা উঠে গিয়েছিল বিশ্বকাপের আগেই তাঁর অবসর নিয়ে। কিন্তু ২০১৯ পড়তেই যেন অন্য ধোনি। প্রথম ম্যাচ ভারত হারলেও ৫০ করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে দেখা গিয়েছিল সেই ফিনিশার ধোনিকে। এ দিন দেখা গেল নতুন ধোনিকে।
প্রাক্তনদের মধ্যে অনেকেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ভারত আগে যা পারেনি এবার তাই করে দেখাবে কোহলিরা। কারণ অজি শিবিরে নেই সময়ের দুই সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ এবং ডেভিড ওয়ার্নার।আর এই সুযােগটা দারুণভাবেই কাজেই লাগালেন বিরাট কোহলি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইতিহাস সৃষ্টি করল ভারত। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জিতে ইতিহাস সৃষ্টির পাশাপাশি প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে কোনও সিরিজ না হেরে ফিরছে ভারতীয় দল।মহেন্দ্র সিংহ ধােনির ব্যাটই সিরিজ জিতল ভারত। বিরাট কোহালি ফেরার পর চতুর্থ উইকেটে কেদার যাদবের।সঙ্গে তাঁর জুটিই জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে গেল দলকে। একদিনের সিরিজে টানা তিন ম্যাচে পঞ্চাশ করে ফেললেন তিনি।
এ দিন ভারত একাধিক পরিবর্তন করে মাঠে নামে। অম্বাতি রায়ুড়ু, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজদের বদলে দলে আসেন কেদার যাদব, বিজয় শঙ্কর এবং যজুবেন্দ্র চহল। রায়ুড়ুর বদলে চার নম্বরে নামানো হয় ধোনিকে। সেই পরীক্ষা যে এক্কেবারে সফল সেটাই ধোনি নিজেই বুঝিয়ে দিলেন। দলে ধোনির ভূমিকা হয়তো এ দিন থেকেই পালটে গেল। ফিনিশার থেকে হয়ে গেলেন অ্যাংকর ধোনি। যার মূল কাজ হল একটা দিক ধরে রাখা। তবুও এর মধ্যে ভাগ্যকে ধন্যবাদ দেবেন ধোনি। কারণ প্রথম বলেই ক্যাচ পড়েছিল তাঁর।
অস্ট্রেলিয়া থেকে সিরিজ জিতে নিয়ে ভারতের গন্তব্য এ বার নিউজিল্যান্ড। সে দেশে পাঁচটা একদিনের ম্যাচের পর দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আরও পাঁচটা একদিনের ম্যাচ খেলবে ভারত। সুতরাং বিশ্বকাপের আগে আর দশটা ম্যাচ পাবে ভারত। তাই এই সিরিজ জয় ভারতের কাছে নিঃসন্দেহে একটা স্বস্তির ব্যাপারে।