আহমেদাবাদ : ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর কেটে গিয়েছে কয়েকদিন। স্বজনহারা মানুষদের হাহাকার ও কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে বাতাস। আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১২৫ জনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে।(Plane Crash Victims) এর মধ্যে ৮৩ জনের দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে। সোমবার একথা জানালেন গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যৌথভাবে ডিএনএ টেস্টের কাজ করছে ন্যাশনাল ফরেন্সিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি এবং এফএসএল-এর টিম।
Read More: হংকং থেকে আসা ভারতমুখী বিমানের জরুরি অবতরণ! ফের প্রশ্নের মুখে এয়ার ইন্ডিয়া
সোমবার রাতে গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুষিকেশ প্যাটেল এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে জানান, রাত ১০টা ২৫ অবধি ১২৫ জনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। ১২৪ জনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৩ জনের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্ঘটনার পর থেকেই যুদ্ধকালীনতৎপরতায় কাজ করেছেন উদ্ধারকারী দল, পুলিশ, আহমেদাবাদ পুরসভা, সিভিল হাসপাতালের চিকিৎসক এবং অন্য কর্মীরা। এরপরেও দেহ শনাক্তকরণের কাজ ধীর গতিতে এগোচ্ছে। কারণ ডিএনএ পরীক্ষা। এই পরীক্ষার মাধ্যমে গুজরাটের ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে দেহ শনাক্তকরণের কাজ চলছে।
আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতাল এবং অন্যত্র এসে জড়ো হয়েছেন মৃতদের আত্মীয়রা।(Plane Crash Victims) রবিবারই ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। সোমবার প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রূপানির দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সোমবার পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয় তাঁর শেষকৃত্য।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1934619109754646828
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে টেক অফের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমান। বিমানটি যে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে এসে ধাক্কা মেরে, সেখানেও সেসময় একাধিক ডাক্তারি পড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। দুর্ঘটনার জেরে তাঁরাও আহত হন। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বিমান দুর্ঘটনায় যে হস্টেলটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেখানে প্রায় ২০০ জন ডাক্তারি পড়ুয়া থাকতেন। সূত্রের খবর, এই দুর্ঘটনার জেরে কমপক্ষে আহত হন কমপক্ষে ৪০ জন জুনিয়র ডাক্তার।