কলকাতা : কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটল রাজ্য। এবার থেকে বিল বকেয়া থাকলেও মৃতদেহ আটকে রাখা যাবে না, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে স্পষ্টতই সেই বার্তা দিল রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন।(State Health Commission)এ নিয়ে কড়া নিয়ম চালু করার পক্ষে সওয়াল করেছেন রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের শীর্ষ কর্তারা।
Read More: স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল বাংলা, শুক্রেও রাজ্যজুড়ে বর্ষণের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
বিলের সম্পূর্ণ টাকা মেটাতে না পারায় রোগীর মৃতদেহ আটকে রেখেছে বেসরকারি হাসপাতাল, প্রতি বছর প্রায়শই এমন অভিযোগ জমা পড়ে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনে।(State Health Commission)রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, বিলের টাকা আদায়ে দেহ আটকে রাখা যাবে না। “অনেক বেসরকারি হাসপাতালকে ডেকে পাঠালে তারা আমাদের বলেন, আমাদের বিষয়টাও দেখুন। এত টাকা বাকি আছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, মৃতদেহের ক্ষেত্রে কোনওরকম অজুহাত সহ্য করা হবে না”, জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কমিশনের সচিব আর্শাদ ওয়ারসি।

স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের এহেন বার্তা যে কেবল কথার কথা নয়, তার প্রমাণ মিলেছে ইতিমধ্যেই। অভিযোগ, টাকা দিতে না পারায় এক রোগীকে দেড় মাস ধরে আটকে রেখেছিল সাঁকরাইলের গ্রিন ভিউ ক্লিনিক। কমিশন সূত্রে খবর, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই রোগী ভর্তি হয়েছিলেন বেসরকারি ওই নার্সিংহোমে। ২৬ ফেব্রুয়ারি রোগী সুস্থ হয়ে যান। তার পরেও ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ওই রোগীকে আটকে রাখে বেসরকারি ওই নার্সিংহোম। স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, “স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে ভর্তি হয়েছিল রোগী। সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ বলতে শুরু করে পোর্টালে আমরা আপলোড করতে পারিনি। রোগীকে নগদে টাকা দিয়ে ডিসচার্জ নিতে হবে। কিন্তু রোগীর পরিবারের সে ক্ষমতা ছিল না। দেড়মাসের উপর সুস্থ রোগীকে আটকে রাখা হয়েছে।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1910631683302514784?s=19
উক্ত ঘটনা জানার পরই দ্রুত আইসি (সাঁকরাইল) এবং হাওড়ার পুলিশ সুপারকে ফোন করা হয় স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের তরফে। খবর দেওয়া হয় হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে। স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে এমন কিছু হলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা।