সারা বছর ধরেই বাংলার মানুষের পাশে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নানা রকম উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করে তিনি গড়ে তুলেছেন এই ‘সোনার বাংলা’। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা উজাড় করে দিতে টানা তিনদিন ধরে পায়ে হেঁটে কাঁকসার আদিবাসীরা আসবেন আগামী শনিবারের ব্রিগেড সভায়। ব্রিগেড সমাবেশকে আরও মুখরিত করতেই এই লক্ষ্যে এগিয়েছে জেলার আদিবাসী মানুষজন।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি বিপুল সম্মান ব্যক্ত করতেই কাঁকসার রঘুনাথপুর থেকে প্রায় হাজার খানেক আদিবাসী মানুষ ধামসা–মাদল বাজিয়ে পায়ে হেঁটে ব্রিগেড অভিমুখে রওনা দিলেন বুধবার। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পূর্ব বর্ধমানের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু ও কাঁকসা ব্লকের তৃণমূল নেতা দেবদাস বক্সির নেতৃত্বে শুরু হয় মিছিল। প্রায় কয়েক হাজার আদিবাসী দীর্ঘ (প্রায় ১৯০ কিমি) পথ পায়ে হেঁটে ব্রিগেডে যাবেন।
১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের দিন ভোরেই আদিবাসী ও তফশিলি মানুষের দল কলকাতায় পৌঁছে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে আদিবাসীরা অনেক কিছু পেয়েছেন এবং তাই এই সমাবেশকে আরও শক্তিশালী করার জন্যই উৎসাহের সঙ্গে পায়ে হেঁটে যাবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পুষ্পা হাঁসদা, বিশু মুর্মুরা আজ মুখ্যমন্ত্রীর প্রেরণায় রীতিমতো উজ্জীবিত। দেবু টুডু বলেন, ‘আজ থেকে ব্রিগেড যাত্রা শুরু হল। সমাবেশে এখান থেকে ৫০০ শিল্পী পথে হাঁটবেন। রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় আদিবাসীরা অনেক কিছু পেয়েছেন। তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
বুধবার সকালে ধামসা, মাদলের তালে তালে চলে সাঁওতালি নাচ। আদিবাসীদের জমায়েত দেখতে গ্রামবাসীদের ভিড় জমে যায় কাঁকসার জঙ্গলমহলের মাঠে। তার পরই সেখান থেকে বিশাল পদযাত্রা বের করে আদিবাসীরা রওনা দেন কলকাতার পথে।
বুধবার সকাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যাওয়ার জন্য আদিবাসী ঘরের মহিলারা নতুন শাড়ি পরে মাঠে হাজির হয়ে যান। অতিথিরা আসার পর ফুল, পাতা দিয়ে মাটির কলসি সাজিয়ে নিয়ে সাঁওতালি নৃত্য শুরু করেন। আদিবাসী লোকশিল্পীরা যাত্রার আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন রঘুনাথপুরের মাঠে। লোকশিল্পীরা বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সাংস্কৃতিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাই জেলার আদিবাসীরা আজ পথে নেমেছেন’। আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য যেভাবে একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করেন তাকে সম্মান দিতে এই উদ্যোগ যে ব্রিগেড সম্পূর্ণ সফল করে তুলবে তা বলাই বাহুল্য।