নরেন্দ্র মোদীর আমলে বছরের পর বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। তবুও মূল্যবৃদ্ধির কোপ থেকে রেহাই পাননি দেশের আমজনতা। বারবার পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, খাদ্যপণ্য, জ্বালানির দাম। খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার থেকে পাইকারি মূল্যসূচক, সর্বত্র পরিসংখ্যান ঊর্ধ্বমুখী। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রতি মাসে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে খাদ্য এবং অধিকাংশ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। সাম্প্রতিককালের মধ্যে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার খাদ্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাড়ে ৫ শতাংশ ছাপিয়ে গিয়েছে। সোমবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাইকারি মূল্যসূচকও ক্রমবর্ধমান। গত ১৬ মাসের মধ্যে পাইকারি মূল্যসূচক সর্বোচ্চ হয়েছে। জুনে হার ৩.৪ শতাংশে পৌঁছেছে। মে মাসেই হার ছিল ২.৬ শতাংশ। জুনে পাইকারি মূল্যসূচক খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে অনেকটাই বেশি।
প্রসঙ্গত, মে-তে যেসব খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৭.৪০ শতাংশ, জুনে তা বেড়ে হয়েছে ৮.৬৮ শতাংশ। সব্জি, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজের মতো খাদ্যপণ্যের দাম মাসে মাসে বেড়েই চলেছে। এই পণ্যগুলির পাইকারি দর জুনে বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায়, খুচরো বাজারে দাম কমার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। চাল, গম, ডাল, সব্জি, আলু, পেঁয়াজ ইত্যাদির মূল্যবৃদ্ধির হার কোনও কোনও ক্ষেত্রে ৩৮ শতাংশ, কোনও ক্ষেত্রে আবার ৬৬ শতাংশ। পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির হার ৯৩ শতাংশ। ফলের দামও লাগামছাড়া। দুই থেকে তিনগুণ হারে প্যাকেটজাত খাদ্য পণ্যের দামও বাড়ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক ‘সারা বিশ্বের প্রবণতা’ বলে মূল্যবৃদ্ধির দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। রেপো রেট না কমানোর যুক্তিতে চলে আসে আমেরিকার প্রসঙ্গ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, গত সপ্তাহে মার্কিন মূল্যবৃদ্ধির হার তুলনামূলকভাবে কমে গিয়েছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রেপো রেট কমানোর পথে হাঁটবে বলেও শোনা যাচ্ছে। তবে ভারত রয়েছে সেই তিমিরে। মূল্যবৃদ্ধি কার্যত হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। তাতে রাশ টানতে একেবারেই ব্যর্থ মোদী সরকার।