সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে নেট পরীক্ষায় দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। একাধিক মামলাও দায়ের হয়েছে শীর্ষ আদালতে। চাপের মুখে অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় ইউজিসির নেট পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তারপরেই এনডিএ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং অন্যান্য বিরোধীরা এ নিয়ে কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কখন নিট পরীক্ষায় চর্চা করবেন তাই নিয়ে কটাক্ষ করেছেন মল্লিকার্জুন। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস মোদী সরকারকে ‘প্রশ্ন ফাঁসের সরকার’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী কি বদলানো হবে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন নিজের এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে লিখেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদীজি আপনি পরীক্ষা নিয়ে অনেক আলোচনা করেন। কিন্তু আপনি নিট পরীক্ষা নিয়ে আলোচনায় কখন বসবেন।’ পাশাপাশি ইউজিসির নেট পরীক্ষা বাতিল নিয়ে তিনি বলেন, ‘এর ফলে লক্ষ লক্ষ ছাত্রদের আবেগকে আঘাত করা হয়েছে।’ তাঁর কটাক্ষ, ‘এটাই মোদী সরকারের অহংকারের পরাজয়। কারণ তারা যুব সমাজের ভবিষ্যৎকে ধুলিস্যাৎ করার চেষ্টা করছে, পদপিষ্ট করার চেষ্টা করছে।’ তিনি প্রশ্নফাঁস নিয়ে আরও লেখেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী প্রথমে বলেছিলেন কোনও প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। কিন্তু, যখন বিহার, গুজরাত এবং হরিয়ানায় গ্রেফতার করা হয় তখন তিনি স্বীকার করে নেন যে কিছু কেলেঙ্কারি হয়েছে। এরপরেই প্রবীণ কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন তোলেন, কবে নিট পরীক্ষা বাতিল করা হবে?
কংগ্রেসের তরফে এক্স হ্যান্ডেল পোস্টেও মোদীকে আক্রমণ করা হয়েছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, মোদী সরকার দেশের তরুণদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। মোদী সরকার প্রশ্ন ফাঁসের সরকারে পরিণত হয়েছে। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘নিট পরীক্ষায় কেলেঙ্কারির পর ১৮ জুন পরীক্ষা হওয়ার পর নেট বাতিল করা হয়েছে। এই গাফিলতির দায় কি শিক্ষা মন্ত্রী নেবেন?’ তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের বক্তব্য, বিজেপির শাসনে প্রতিটি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয় হয়েছে। এটি একটি বড় চক্রান্ত। তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখালে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন।