আশা জাগিয়েও স্বপ্নভঙ্গ। বাহরিনের কাছে শেষমুহূর্তের পেনাল্টি গোলে হেরে গিয়ে এশিয়ান কাপের গ্রুপ পর্যায় থেকেই বিদায় নিল ভারত। এদিন হেরে গ্রুপে চতুর্থ হলেন সুনীল ছেত্রীরা। অন্য ম্যাচে তাইল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে গ্রুপের সেরা দল হিসেবে শেষ ষোলোয় চলে গেল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। ভারতের হারের পরেই পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন।
এএফসি এশিয়ান কাপের গ্রু ‘এ’ শেষ ম্যাচে ভারতের হারটা মেনে নিতে পারছেন না কেউই। প্রায় ৯০ মিনিট একটা দলকে আটকে দেওয়ার পরও একটা ছোট্ট আর তাতেই হার। হারের সঙ্গে সঙ্গেই পরের পর্বে যাওয়ার স্বপ্নও শেষ হয়ে গেল ভারতের। আট বছর আগে এই দিনেই এই বাহরিনের কাছে হেরেই এএফসি এশিয়ান কাপের স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছিল। আট বছর পর সেই ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি করল এই ভারতীয় দল।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে গিয়ে নিজের সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে দিলেন স্টিফেন কনস্টানটাইন। তিনি বলেন, ‘‘আমি এখানে গত চার বছর রয়েছি। প্রথম দিন থেকেই আমার লক্ষ্য ছিল এএফসি এশিয়ান কাপ খেলা। এবং আমরা সেটা পেরেছি।” এর সঙ্গে তিনি জুড়ে দেন, ‘‘আমি প্লেয়ারদের জন্য গর্বিত ওরা যা করেছে। আমি সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কুশল দাস, প্রফুল প্যাটেল ও অভিষেক যাদবকে ধন্যবাদ জানাই তাদের সমর্থনের জন্য।”
কনস্টানটাইন আরও বলেন, ‘‘ আমরা ড্র করার জন্য এদিন খেলতে নামিনি ৷ বাহরিন যদিও প্রথম থেকেই গোল করার জন্য ঝাঁপিয়েছিল ৷ অনভিজ্ঞতার জন্যও কিছুটা ভুগতে হয়েছে আমাদের দলকে ৷ আমরা খুব বেশি ডিফেন্স করতে গিয়ে শেষপর্যন্ত শাস্তিটা পেলাম ৷ যদিও আমি মনে করি আমাদের ভাগ্য এদিন সহায় ছিল না ৷ নব্ববই মিনিট পর্যন্ত ওদের আটকে দিয়ে শেষমুহূর্তে গোলটা হজম করলাম ৷ ’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘একটা সাইকেল শেষ এখানে। এ ছেড়ে বেরনোর সময়। আমার কাছে যা চাওয়া হয়েছিল আমি করে দিয়েছি।” ২০১৫তে দ্বিতীয়বার ভারতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব নেন তিনি। তার আগে ২০০২ থেকে ২০০৫ তিনি ছিলেন ভারতের কোচ। এ বার তার কোচিংয়েই ভারতের র্যাঙ্কিং ১৭৩ থেকে ৯৬-এ পৌঁছয়। এবং টানা ১০০-এর মধ্যে রয়েছে ভারত।
কোচ হিসেবে টাফ টাস্ক মাস্টার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কথা কম বলতেন। ন্যাড়া মাথায় তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিই সব কিছু বুঝিয়ে দিত। কিন্তু এশিয়ান কাপ থেকে সুনীলদের বিদায়ের সঙ্গেই ভারতীয় ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন কনস্টানটাইন।