তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। দেশজুড়ে মোদী সরকার সিএএ কার্যকর করতেই তুঙ্গে বিতর্কের ঝড়। ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে পথে নেমেছেন মতুয়ারা। তাঁদের দাবি নিঃশর্ত নাগরিকত্ব। কিন্তু তাঁদের বলা হচ্ছে, সিএএ-র নিয়মবিধি যাই থাকুক না কেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের স্বাক্ষরিত কার্ড থাকলেই নাকি ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন। ৮৫ টাকা খরচ করে মতুয়া মহাসঙ্ঘের সদস্যপদ নিতে হবে। নাগরিকত্বের জন্য সেই কার্ডই যথেষ্ট। গোটা বনগাঁ মহকুমা, বারাকপুর, বারাসত, নদীয়া জেলার কল্যাণী ও রানাঘাট মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন মতুয়া কার্ড করাতে ঠাকুরনগরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ির সামনে লাইন দিচ্ছেন। বাংলাদেশ থেকে আগতরা, যাঁদের কাছে কোনও নথি নেই, তাঁরা কার্ডের জন্য ভিড় করছেন। ইন্ডিয়ান সিটিজেনশিপ অনলাইন পোর্টালের উপভোক্তার অপেক্ষায় সাইবার কাফেগুলি দিন কাটাচ্ছে। সোমবার বিকেল পর্যন্ত, পোর্টালের মাধ্যমে নাগরিকত্বের আবেদন করতে সাইবার কাফেতে যাননি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নাগরিকত্বের টোপ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে কার্ড বিলিরকে নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধির পরিপন্থী বলছে তৃণমূল। রাজ্যসভার সাংসদ তথা মতুয়া সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন মমতাবালা। বিজেপির তরফে হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার-সহ আরও অনেকেই প্রচার করেছেন, নাগরিকত্বের জন্য অন্য কোনও নথি লাগবে না। শান্তনু ঠাকুরের স্বাক্ষরিত কার্ডই যথেষ্ট। এই প্রচারের পরই মতুয়া মহাসঙ্ঘের সদস্যপদ নেওয়ার হিড়িক বেড়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে আগতদের কয়েকটি নথি থাকতেই হবে। তবেই আবেদন করা যাবে নাগরিকত্বের জন্য। তারপর ইন্টারভিউতেও বসতে হবে। যাঁদের নথি নেই, তাঁদের কি হবে? বাড়ছে সংশয়।