মলদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই নাম না করে ভারতকে বার্তা দিয়েছিলেন ‘চিনপন্থী’ মহম্মদ মুইজ্জু। পরে নাম করেই এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, আইন মেনে মলদ্বীপ থেকে সমস্ত ভারতীয় সেনা সরিয়ে দেওয়া হবে। এমনকী প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন মুইজ্জু-সহ মলদ্বীপ সরকারের তিন মন্ত্রী। যার ফলে গত কয়েক মাস ধরেই মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে চিনও। ইতিমধ্যেই মালদ্বীপের জলসীমায় প্রবেশ করেছে বেজিংয়ের ‘নজরদারি’ জাহাজ। এই পরিস্থিতিতে ভারত শুরু করল নৌমহড়া ‘দোস্তি’। আর সেই মহড়ার অংশ হিসেবেই দ্বীপরাষ্ট্রে প্রবেশ করল ভারতীয় রণতরীও।
প্রসঙ্গত, ভারত-মলদ্বীপ-শ্রীলঙ্কা ত্রিদেশীয় নৌমহড়া ‘দোস্তি’ এবার পা দিল ১৬ বছরে। এই মহড়ায় পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় থাকে বাংলাদেশ। আর সেই মহড়ার অংশ হিসেবেই দুই ভারতীয় রণতরী আইসিজিএস সমর্থ, আইসিজিএস অভিনব প্রবেশ করল মালদ্বীপের জলসীমায়। অন্যদিকে নজরদারি বিমান আইসিজি ডোরিয়ারকে দেখা গেল মালদ্বীপের আকাশে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, এক চিনা গবেষণাতরীও নোঙর ফেলেছে মলদ্বীপের বন্দরে। গত ২৩ জানুয়ারি মুইজ্জু প্রশাসন চিনা জাহাজটিকে অনুমতি দিয়েছিল মলদ্বীপের বন্দরে নোঙড় ফেলার। তাদের তরফে বলা হয়েছিল, চিনের জাহাজটি গবেষণার জন্য আসছে না। বন্দর থেকে রসদ নিয়ে সেটি ফিরে যাবে। কিন্তু প্রথম থেকেই এই জাহাজটির ওপর নজর রাখছে ভারতীয় নৌসেনা।