২০১১ কাতারের মাটিতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপের আসরে শেষবার অংশগ্রহণ করেছিল ভারতীয় ফুটবল দল। পরিস্থিতি পালটেছে। বিশ্ব ফুটবলে সুনীলরা এখন ঘুমন্ত দৈত্য। বাহরিনের বিরুদ্ধে জয় ভারতকে ছাড়পত্র দেবে সরাসরি নক-আউট রাউন্ডে যাওয়ার। কিন্তু ২০১১ এই বাহরিনের কাছেই ২-৫ গোলে হারতে হয়েছিল সুনীলদের। তাই সোমবার গ্রুপ পর্বের শেষম্যাচ কনস্ট্যানটাইন অ্যান্ড কোম্পানির কাছে কার্যত বদলার ম্যাচ। এর আগে ১৯৮৪ ও ২০১১-এ গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যেতে হয়েছিল ভারতকে। এ বার সুবর্ণ সুযোগ ভারতের সামনে।
২০১১ এশিয়া কাপের চেয়ে পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা চলতি এশিয়ান কাপে। সেবার র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থেকে বাহরিনের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল সুনীলরা। কিন্তু বর্তমানে সুনীলদের থেকে ১৬ ধাপ পিছিয়ে এই দেশ।
যদিও টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী সংযুক্ত আরব আমিশাহিকে রুখে দিয়েছে বাহরিন। তবে পরের ম্যাচে থাইল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছে তাদের। সবমিলিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে হোক কিংবা লিগ টেবিল, সবেতেই পিছিয়ে থেকে সোমবার ‘মেন ইন ব্লু’র বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবে বাহরিন। অন্যদিকে দুর্দান্ত লড়াই ছুঁড়ে দিয়েও শেষ ম্যাচে হারতে হয়েছে আয়োজক আমিরশাহির বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪-১ গোলে জয় পরের রাউন্ডে যাওয়ার ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে সুনীলদের।
ম্যাচের আগে সাম্প্রতিক অতীতে ভারতীয় ফুটবল দলের যে চমকপ্রদ উত্থান, তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন বিপক্ষ স্ট্রাইকার আবদুল্লা ইউসিফ। ম্যাচের আহে বাহরিন স্ট্রাইকার জানান, ‘এই ম্যাচ আমাদের কাছে ডু অর ডাই। ভারতের মত কঠিন প্রতিপক্ষকে হারাতে আমাদের ইতিবাচক ফুটবল খেলতে হবে।’
ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাহরিনের সহকারী কোচ খালিদ তাজও। ভারতীয় দলের ভূয়সী তারিফ করে তিনি জানান, ‘এই মুহূর্তে এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল ভারত। প্রথম দু’ম্যাচেই তার প্রমাণ মিলেছে। সুতরাং ভারতকে সমীহ করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। তবে আমার ছেলেরাও শারীরীক এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত।’