সমাধান দূর অস্ত। ফিরল না শান্তি। উল্টে আরও মাথাচাড়া দিল হিংসা। অতিসম্প্রতিই কোচবিহারে গিয়ে সে জেলাকে শান্ত করার বার্তা দিয়েছেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু জেলায় তিনি থাকাকালীনই ফের উঠল হিংসার অভিযোগ। ঘটনাস্থল সেই দিনহাটার গীতালদহ। এবার এক তৃণমূল নেতা এবং দুই কর্মীর হাত-পা বেঁধে অস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। জখম তিন জনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার রাতে কোচবিহার আসেন রাজ্যপাল বোস। শনিবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। এরপর রাজ্যপাল উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করেন। আক্রান্ত এবং নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে যেমন তিনি দেখা করেছেন, তেমনই কথা বলেছেন আহত তৃণমূল নেতাকর্মীর পরিবারের সঙ্গে। ভোটকে কেন্দ্র করে কোচবিহার তথা বাংলায় এমন হিংসা আটকানোর বার্তা দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু তাতেও লাভ হল না কোনও। রবিবার রাজ্যপাল জেলায় থাকাকালীন উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিনহাটা। গীতালদহ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোরাম এলাকায় গীতালদহের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মাফিজুর রহমান এবং দুই তৃণমূল কর্মীকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর এবং অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে সারা এলাকাজুড়ে। প্রসঙ্গত, স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাত ১২টা নাগাদ। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই এলাকায় তাদের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী খলিল মিয়ার ছেলেকেও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আটকে রাখেন। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি এবং দলের কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে বিজেপির লোকজন তাঁদের উপর হামলা চালান এবং তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করেন বলে অভিযোগ। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। আহতদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কোচবিহারের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। খবর পেয়ে রাতেই তৃণমূলের জেলার নেতারা ছুটে যান হাসপাতালে।