একটি টিভি শোয়ে এসে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেছিলেন, গ্রিলড চিকেন তাঁর খুবই পছন্দের একটি পদ। রােজ দুপুরে পাতে পড়লে কথাই নেই। সঙ্গে একটু আলু সেদ্ধ দিয়েই লাঞ্চ সেরে নেন। ভারত অধিনায়কের এই পছন্দের খবরই পৌঁছেছে মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়ায়। স্পষ্ট করে বলতে গেলে ঝাবুয়ার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে। এই খবর শোনার পরই কর্তৃপক্ষর অনুরোধ, গ্রিল চিকেনের পরিবর্তে ঝাবুয়ার নিজস্ব কড়কনাথ চিকেন খান বিরাট।
তবে এ স্রেফ কথার কথা নয়। মৌখিক অনুরোধেই থেমে থাকেনি তারা। এই নিয়ে একেবারে বিসিসিআই-কে লিখিত আবেদন পাঠিয়েছে ঝালুয়া কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র। জানিয়েছে, কড়কনাথ চিকেনে কোলেস্টেরল, ফ্যাটের মাত্রা নামমাত্র। প্রোটিন আর আয়রনে ভরপুর। ঝাবুয়ার আগ মার্কা কালো মুরগির প্রসঙ্গে ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টারের রিপোর্ট একই কথা বলে। সেই রিপোর্টের উল্লেখ করে বিসিসিআই-কে কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের আবেদন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সব সদস্য নিয়মিত কড়কনাথ চিকেন খান।’
কড়কনাথ কালো এবং লম্বা প্রজাতির এক মুরগি। যা বিশেষ করে মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া ও আলিরাজপুরেই পাওয়া যায়। এই মুরগির মাংসে ১.৯৪ শতাংশ ফ্যাট রয়েছে। যা অন্য প্রজাতির মুরগির মাংসের তুলনায় অনেকটাই কম। আবার প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। প্রায় ২৪ থেকে ২৫ শতাংশ প্রোটিন থাকলেও একেবারেই কোলেস্টেরল নেই। জানা গেছে, এই মুরগির মাংসে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও রয়েছে। ফলে সব দিক থেকে এই মুরগির মাংস সত্যি সত্যিই একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য। এর ডিমও একই ভাবে ভীষণ উপকারী।
ঝাবুয়ার কড়কনাথ চিকেন সব অর্থেই আলাদা। এই মুরগির চামড়াও কালো মাংসও। তাই কালি মাসি (কালো মাংস) এর আরেক নাম। একটি পূর্ণবয়স্ক কড়কনাথ মুরগীর ওজন ২ কেজিরও কম। খাদ্যগুণের কারণেই দাম বেশি। কেজি প্রতি ৫০০ টাকা। কড়কনাথের মাংস খাওয়ার প্রচলন রয়েছে ভীল ও ভীলালা সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে। এখন দেখার বিজ্ঞান কেন্দ্রের পরামর্শ মেনে বিরাটরাও এই মুরগির মাংস খাওয়া শুরু করেন কিনা!