সারা ভারতের ফের দিশা দেখাল বঙ্গ। এবার আধার নম্বরের বায়োমেট্রিক যাচাই করে রেশন গ্রাহকদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়ায় দেশসেরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। খোদ মোদী সরকারের পরিসংখ্যানেই উঠে এসেছে এই তথ্য। সম্প্রতি দিল্লীতে আয়োজিত নানান রাজ্যের খাদ্য সচিবদের নিয়ে ডাকা কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রকের বৈঠকে এই তথ্য উঠে এসেছে। পিছনের সারিতে রয়েছে ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলি। পাশাপাশি কংগ্রেস, সিপিএম, আপ শাসিত রাজ্যগুলিও পিছিয়ে। কেরল, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড়, উড়িষ্যায় ৯৫ শতাংশের কম রেশন গ্রাহকের আধার যাচাই হয়েছে। সেখানে বাংলায় প্রায় ৯৯ শতাংশেরও বেশি রেশন গ্রাহকের আধার নম্বরের বায়োমেট্রিক যাচাই করে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। খাদ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে এখনও অবধি ৭২ লক্ষ ২৪ হাজার খাদ্য সরবরাহ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া হয়েছে। ৭২ লক্ষ ১৫ হাজার ক্ষেত্রে আধার নম্বর যাচাই করা হয়েছে। কেরলে কেবল ৮৪ শতাংশ ক্ষেত্রে আধার নম্বর যাচাই করা হয়েছে। আধার যাচাই করাই হয়নি পঞ্জাবে।
উল্লেখ্য, আঙুলের ছাপের দ্বারা আধার নম্বরের বায়োমেট্রিক যাচাই করা হয়। কিন্তু অনেকে ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বয়স্কদের আঙুলের ছাপ মেলাতে সমস্যা হয়। সমস্যা সমাধানে বাংলার রেশন দোকানগুলিতে আই স্ক্যানার যন্ত্র দেওয়া হয়েছে। বায়োমেট্রিকের সমস্যা হলে ওই যন্ত্রের সাহায্যে চোখের মণির মাধ্যমে আধার নম্বর যাচাই করা যাবে। পাশাপাশি আধার নম্বর যাচাই প্রক্রিয়া কোনও কারণে সম্পন্ন না হলেও, কোনও রেশন গ্রাহক যাতে খাদ্যসামগ্রী পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন, তার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এছাড়াও রেশন দোকানের কারচুপি রুখতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলার সরকার। রাজ্যের ২১ হাজার রেশন দোকানে বৈদুতিন ওজন মাপার যন্ত্র বা ইলেকট্রিক্যাল ওয়েট মেশিন বসানোর কাজ শুরু হতে চলেছে। বৈদ্যুতিক ওজন মাপার যন্ত্র, রেশন দোকানে থাকা ই-পস যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। গ্রাহকরা কী পরিমাণ খাদ্যশস্য নিচ্ছেন, রেশন দোকানের তরফে কী পরিমাণ রেশন দেওয়া হচ্ছে তা ই-পসের মাধ্যমে খাদ্য দফতরের সার্ভারে পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ, পুরো প্রক্রিয়া অভিযোগ ও বিতর্কহীনভাবে সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।