মণিপুরের পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। সেনা ও আধা সেনার টহল চলছে। বহু এলাকায় কার্ফু বলবৎ আছে। মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবাও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। আক্রান্ত পরিবারগুলিকে আরও কিছুদিন সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ শিবিরে রাখা হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
এদিকে, মণিপুর হাইকোর্টের যে রায়কে কেন্দ্র করে চলতি অশান্তির সূত্রপাত, সুপ্রিম কোর্টে তা গুরুতর প্রশ্নের মুখে পড়েছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘হাইকোর্টের বিচারপতি কীভাবে এমন রায় দিলেন! তিনি কি জানেন না, কোনও জাতি সম্প্রদায়কে উপজাতি ভুক্ত করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত। বিচারপতি কীভাবে সরকারকে বলতে পারেন কোনও সম্প্রদায়কে সিডিউলড কাস্ট হিসাবে স্বীকৃতি দিতে?’
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের অসন্তোষের মুখে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানান, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এই রায়ের ব্যাপারে উপযুক্ত ফোরামে যাবে। আদালত ১৭ মে’র মধ্যে মণিপুরের পরিস্থিতি এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা সম্পর্কে সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, রায় নিয়ে এখন বিশদ আলোচনার প্রয়োজন নেই। আদালত চিন্তিত কত তাড়াতাড়ি মণিপুরে শান্তি ফেরানো যায়। সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। ত্রাণ শিবিরে মানুষ যেন পর্যাপ্ত খাবার ও ওষুধ পান।
প্রবীণ আইনজীবী কলিন গঞ্জালভেস অশান্ত মণিপুরের হিংসার তথ্য পড়ে শোনাতে শুরু করলে প্রধান বিচারপতি তাঁকে থামিয়ে দিলে বলেন, ‘এখানে রিপোর্ট পড়ার দরকার নেই। এখন সেই পরিস্থিতি নয়। আপনি রিপোর্ট আদালতে জমা দিন। আমরা দেখে নেব।’