কোটির ভিড়ে ক্রিকেট ঈশ্বরকে খুঁজে বের করেছিলেন রমাকান্ত আচরেকর। গোটা বিশ্ব তাঁকে চিনত মাস্টার ব্লাস্টারের কোচ হিসেবে। বছরের শুরুতেই নিভল সেই কিংবদন্তি কোচের জীবনদীপ। সেই শ্রদ্ধেয় গুরুর মৃত্যুতে প্রিয় শিষ্য শচীন তেণ্ডুলকর বললেন, ‘পৌঁছে গিয়েছেন আচরেকর স্যার। এবার স্বর্গের ক্রিকেটও সমৃদ্ধ হবে।’
শচীন তেণ্ডুলকরের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল মানুষটির নাম। শচীন নিজেও ‘আচরেকর স্যর’ বলতে অজ্ঞান ছিলেন। শচীন বলেন, ‘আমার জীবনে তাঁর অবদান একটা শব্দে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তাঁর থেকেই ক্রিকেটের এ-বি-সি-ডি শিখেছি। আমি আজকে দাঁড়িয়ে আছি তাঁর জন্যই।’ গত মাসেও ‘স্যার’-এর বাড়িতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার।
সেই ৮ বছর বয়সে শিবাজি পার্কের আচরেকর ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভর্তিয়য়েচ্ছিলেন শচীন। তারপর বাকিটা ইতিহাস। এই অ্যাকাডেমিতেই একসঙ্গে বেড়ে ওঠা শচীন-কাম্বলির। দুজনের দিকেই তীক্ষ্ণ নজর ছিল আচরেকরের।
ভারতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটার হওয়ার পরেও একটা দিনের জন্যও নিজের জীবনে রমাকান্ত আচরেকরের প্রভাবের কথা ভোলেননি শচীন। প্রত্যেক জন্মদিনে ‘স্যার’-এর সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। এমনকি শুধু ক্রিকেট নয়, ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষাও শচীন আচরেকরের কাছে পেয়েছেন বলে অনেক সাক্ষাৎকারেই জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। বলেন, ‘সফল হওয়ার পরেও মাটিতে পা রেখে চলার শিক্ষা তাঁর কাছেই পেয়েছি।’
