বাম আমলে নিয়োগ দুর্নীতির ময়নাতদন্ত শুরু করেছে তৃণমূল। নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শীঘ্রই সামনে আসবে বামেদের দুর্নীতির শ্বেতপত্র, বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসু। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই দেখা যাবে সেই তালিকা, বলেছেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। চাকরি সুপারিশে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর নাম জড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। ‘সব পাপ সিপিএম জমানা থেকে শুরু’, এ কথা বলছেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
এককালে দাপটের সঙ্গে এই তৃণমূলই করতেন ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা। উঠে এসেছিলেন কৃষক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। যদিও রাজ্যে পালাবদলের পর চলে গিয়েছিলেন ঘাসফুল শিবিরে। এবার সেই রেজ্জাই বলছেন। হ্যাঁ, হয়েছিল দুর্নীতি। কোনও ছেলে পার্টির হোলটাইমার হলে তাঁর বউকে চাকরি দেওয়ার চেষ্টা হতো বাম জমানায়।
পুরোনো দল নিয়ে একরাশ অভিমানও ঝরে পড়ল রেজ্জাকের গলায়। বললেন, ‘এককালে, মানে ২০১১ সালের আগে সিপিএম পার্টিটা ছিল আন্দোলন নির্ভর, সংগঠন নির্ভর। তারপর আস্তে আস্তে দেখলাম সরকার নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। তখন থেকেই আমি শুরু করলাম সরে আসতে’। কিন্তু, এত বিতর্ক, এত জল্পনার মধ্য়ে প্রশ্ন তো একটাই সাদা জামা, সাদা পাঞ্জাবির বাম নেতাদের দুর্নীতির কালো দাগ কী লেগেছিল?
রেজ্জাক আরও বলেন, ‘বাম আমলে শিক্ষায় এত দুর্নীতি ছিল না। তবে ওদের চাকরি-টাকরির ব্যাপারে একটা ব্যাপার ছিল। কোনও ছেলেকে যদি হোলটাইমার করা হতো তখন ওর বউকে বা নিকট আত্মীয়কে চাকরি দেওয়ার চেষ্টা হতো। আমাদের জেলায় অন্তত এই চেষ্টা হয়েছিল সেটা আমি জানি। তখন আমার মনে হয়েছিল এটা ঠিক। একটা বুদ্ধিমান ছেলে হোলটাইমার হয়ে মাসে ২-৩ হাজার পাবে তাতে তো তার সংসার চলবে না। কাজেই সেখানে বিকল্প হিসাবে তাঁর নিকট আত্মীয় বা স্ত্রীকে চাকরি দিলে একটা সুরাহা হত’।