অনুব্রতহীন বীরভূমের দায়িত্ব আগেই নিজে তুলে নিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গড়ে দিয়েছিলেন ৭ জনের কমিটি। এবার ফের বীরভূম জেলা নিয়ে বৈঠকে মমতা। শুক্রবার বীরভূমের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে কালীঘাটে বৈঠক করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এবং অনুব্রত বিরোধীদের মধ্যে সমন্বয় করে জেলা তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটি তৈরি করেছিলেন মমতা। এবার কী পদক্ষেপ? ওই একই মডেল অনুসরণ করবেন? নাকি অন্য কিছু। সব থেকে বড় কথা অনুব্রতকে কি সভাপতি পদ থেকে সরাবেন মমতা? সব প্রশ্ন নিয়ে কালীঘাটের বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
শুক্রবারই কালীঘাটে দলীয় বৈঠকেই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রতি সপ্তাহে তিনটি করে জেলার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। প্রথমেই তিনি মুর্শিদাবাদ জেলা বৈঠক করেন। জগন্নাথধাম থেকে ঘুরে এসে তিনি বীরভূম নিয়ে বৈঠকে বসছেন। গত বছরের ১১ আগস্ট বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপর তাঁকে শোন অ্যারেস্ট দেখায় ইডি। চলতি মাসের ৭ তারিখ তাঁকে দিল্লি নিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা।
বীরভূমের দায়িত্ব সে অর্থে আর কারোর হাতে ভরসা করে ছাড়েননি নেত্রী। লালমাটিতে দাঁড়িয়েই ঘোষণা করেছিলেন, বীরভূম জেলা সংগঠনের দেখভাল তিনি নিজেই করবেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, একজন মুখ্যমন্ত্রী, দলের শীর্ষ নেত্রী যখন একজন জেলা সভাপতির দায়িত্ব বদলে দায়িত্ব নেন, তার গুরুত্ব অপরিসীম। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী এবং ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলা সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন বটে এতদিন রাশ ধরে রেখেছেন নেত্রী নিজেই।