কদিন আগে শিলং সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন. গুয়াহাটি থেকে কেন চলবে মেঘালয়? নাম না করে তাঁরা স্পষ্ট করেই বোঝাতে চেয়েছিলেন যে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা মেঘালয়েও ছরি ঘোরাতে চাইছেন।
শনিবার মেঘালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন সেই আক্রমণের ধার আরও বাড়াতে চাইলেন। তাঁর কথায়, মেঘালয়ে ক্ষমতাসীন এনপিপিই খাল কেটে বিজেপিকে ঢোকাতে চাইছে শিলংয়ে।
মেঘালয়ে এনপিপি-র নেতৃত্বে জোট সরকারে বিজেপি রয়েছে ঠিকই, কিন্তু এই জাতীয় দলের শক্তি সেখানে খুবই কম। একেবারেই ক্ষীণ। এই পরিস্থিতিতে অন্যদলের বিধায়ক ভাঙিয়ে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গেরুয়া নেতারা। এবারের ভোটে বিজেপি পৃথক ভাবে লড়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে।
এ ব্যাপারে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র শনিবার শিলংয়ে বলেন, ‘আমরা সবাই জানি যে এনপিপি-ই বিজেপির পাইপলাইন। তারাই মেঘালয়ে ফ্যাসিবাদী, সংবিধান বিরোধী বিজেপিকে আনার চেষ্টা করছে’। ডেরেককে প্রশ্ন করা হয়, তৃণমূলের অবস্থান কী হবে? ভোটের পর কি জোট গড়ার পথে হাঁটবে তৃণমূল? জবাবে রাজ্যসভার তৃণমূল নেতা বলেন, ‘কে কোথায় যোগ দেবে তা পরে দেখা যাবে। আমরা মেঘালয়ের মানুষকে এই ভোটে শরিক করেছি। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই ভোটে লড়ছি’।