বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মাঠ থেকে উদ্ধার তৃণমূল কর্মীর গলাকাটা দেহ। পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁকে। তবে কে বা কারা এই কাজ করল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা জারি রয়েছে। রাজনৈতিক কারণে খুন নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখছে ক্যানিং থানার পুলিশ।
নিহত বছর পঁয়তাল্লিশের সুচিত্রা মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা। শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। বাড়ির কাছের মাঠের সবজি বাগানে জল দিতে যাচ্ছেন বলেই জানিয়েছিলেন। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি ওই তৃণমূল কর্মী। সন্ধে হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজনের দুশ্চিন্তা হয়। বাড়ির কাছে মাঠে সুচিত্রাকে খুঁজতে যান তাঁর ছেলে।
মাঠে গিয়ে কার্যত তাজ্জব হয়ে যান ওই তৃণমূল কর্মীর ছেলে। তিনি দেখেন, মাঠের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে তাঁর মায়ের দেহ। বাড়ির অদূরেই গলাকাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার খবর পেয়ে ওই মাঠে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। খবর পৌঁছয় ক্যানিং থানায়। পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
নিহতের ছেলে জানান, তাঁর মা সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন। তৃণমূল করার ‘অপরাধে’ই খুন হতে হয়েছে তাঁকে। এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সুচিত্রা তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। তিনি সম্প্রতি আবাস যোজনার কাগজপত্র বাড়ি বাড়িতে গিয়ে সংগ্রহ করেছিলেন। এই নিয়ে শাসক শিবিরের নেতা-কর্মীদের একাংশের মনে ক্ষোভ ছিল। আর সেই ক্ষোভের কারণে তাঁকে খুন হতে হয়েছে। এদিকে, এই খুনের ঘটনার পর রাত কেটে যাওয়ার পরেও থমথমে ক্যানিংয়ের গোপালপুর। এলাকায় চলছে পুলিশি টহল।