আগেই রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছিল বাংলা। কাজেই উড়িষ্যার বিরুদ্ধে হারলেও অসুবিধায় পড়েননি মনোজরা। নকআউটে বাংলা খেলবে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে। গত বছরও কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা এবং ঝাড়খণ্ড। সেই ম্যাচে রেকর্ড গড়েছিলেন বাংলার ব্যাটাররা। ৯ জন ব্যাটার অর্ধশতরানের বেশি রান করেছিলেন। কোয়ার্টার ফাইনাল ঘরের মাঠে হওয়ায় কিছুটা সুবিধা পাবে বাংলা। কিন্তু উড়িষ্যার বিরুদ্ধে গ্রুপ ম্যাচে যে ভাবে হারতে হল, তা খানিকটা চিন্তায় ফেলেছে বাংলা শিবিরকে। পিচ ভিজে থাকার কারণে প্রথম দিন চার ঘণ্টা খেলাই হয়নি। কিন্তু বাংলার প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয় উদ্বেগের কারণ মনোজদের কাছে। দ্বিতীয় ইনিংসে অভিমন্যু ঈশ্বরন শতরান করে দলে মান বাঁচিয়েছিলেন। মনোজ অর্ধশতরান করেন। কিন্তু হার বাঁচানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। ঘরের মাঠে হেরে যায় বাংলা। একাধিক ক্রিকেটারের চোটও বাংলার চিন্তার কারণ। সেই সঙ্গে গ্রুপ পর্বে ওপেনার নিয়ে সমস্যার কোনও সুরাহা মেলেনি। নকআউটে সেটাও চিন্তায় রাখবে অধিনায়ক মনোজকে।
প্রসঙ্গত, ওপেনার নিয়ে বাংলার সমস্যা রয়েই গিয়েছে। অভিমন্যু ঈশ্বরনের সঙ্গী খুঁজে পাচ্ছে না বাংলা। কোয়ার্টার ফাইনালে দলে আসতে পারেন কাজী জুনেইদ। তরুণ ব্যাটার বাংলার অনূর্ধ্ব-২৫ দলে রান করেছেন। তাঁকে সিনিয়র দলে খেলাতে পারে বাংলা। বাংলার সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী বললেন, “ম্যাচ হারতে তো কখনও ভাল লাগে না, তবে এই ম্যাচে হেরে একটা ধাক্কা খেল দল। কোয়ার্টার ফাইনালের আগে যেটা দলকে আরও ভাল ভাবে তৈরি হতে সাহায্য করবে।” চোটের কারণে এই ম্যাচে ব্যাট করতে পারেননি অনুষ্টুপ মজুমদার। “কোয়ার্টার ফাইনালে রুকু (অনুষ্টুপের ডাকনাম) খেলবে। এই ম্যাচে খেলিয়ে আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাইনি। শাহবাজ় (আহমেদ) ফিরে আসবে। যদিও মুকেশকে (কুমার) পাওয়া যাবে না ও জাতীয় দলে থাকায়” জানিয়েছেন সৌরাশিস।
