স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকার নিরিখে নজিরের মুখে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তেমন মিরাক্যাল কিছু না ঘটলে বঙ্গবন্ধু কন্যা কুর্সিতে তৃতীয়বারের জন্য বসতে চলেছেন৷ অর্থাৎ হ্যাট্রিকের মুখে হাসিনা৷
বাংলাদেশে একাদশতম জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে আগামীকাল অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর, রবিবার৷ ফল প্রকাশও হয়ে যাবে রবিবারই। সেই হিসেবে নতুন বছরের আগেই সরকার গড়তে পারে কোন জোট বা দল সেটা নিশ্চিত হয়ে যাবে৷ পদ্মাপারের ভোট ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহল সরগরম৷ বৃহত্তর আন্তর্জাতিক পরিসরেও উত্তাপ ছড়াচ্ছে এই ভোট।
তাই আজ শনিবার থেকেই বাংলাদেশ জুড়ে নিরাপত্তাবেষ্টনী জোরদার করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মোট ৬,০০,০০০ পুলিশ, সেনা এবং অন্যান্য নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে নির্বাচনের সুরক্ষাব্যবস্থাকে আরও আঁটোসাটো করার লক্ষ্যে। এই বাহিনীতে রয়েছে র্যাব (র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন), বায়ুসেনা, সীমান্ত এবং উপকূলরক্ষীবাহিনীও। যারা আগামীকাল গোটা দেশের মোট ৪০,০০০ নির্বাচনী বুথে পাহারা দেবে।
সংবাদসংস্থা এএফপি’কে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থার বন্দোবস্ত করেছি। আশা করি, শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হবে আগামীকালের নির্বাচন প্রক্রিয়া।‘১৮০০ প্রার্থী, ৩০ টিরও বেশি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। ইতিমধ্যেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হওয়া হিংসার বলি হয়েছেন ১৩ জন। আহতের সংখ্যা হাজারেরও বেশি।