আগুন লাগলে আর দেরী নয়। এবার থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ‘গ্রিন করিডর’ করে দমকলের গাড়িকে দ্রুত ঘটনাস্থল পর্যন্ত পৌঁছে দেবে কলকাতা পুলিশ।
জানা গেছে, এ জন্য ব্যবহার করা হবে দমকলের গাড়িতে থাকা জিপিএস যন্ত্রটিকে। ওই যন্ত্রের মাধ্যমে গাড়িটি কোথায় আছে তা দেখে নিয়ে গন্তব্য পর্যন্ত দমকলের ইঞ্জিনকে পৌঁছে দিতে সিগন্যাল সবুজ করে রাখা হবে। যাতে যানজটে আটকে দমকলের গাড়ির দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতে কোনও ভাবে সময় নষ্ট না হয়।
শুক্রবার কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এক বৈঠকে এই প্রস্তাব দিলেন রাজ্যের নতুন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। মন্ত্রী ছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নগরপাল রাজীব কুমার, দমকলের মহানির্দেশক জগমোহন ও অন্যান্য আধিকারিকরা। সেখানেই পুলিশ-দমকল সমন্বয় আরও বৃদ্ধি করা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জানা গেছে, পুলিশকে আগুন নেভানোর প্রশিক্ষণও দেবে দমকল। একইসঙ্গে দমকল বাহিনী এবং লালবাজার, উভয়ের কন্ট্রোল রুমের মধ্যে সব সময় যাতে যোগাযোগ থাকে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেলে সাধারণত ঘটনাস্থলে দ্রুত দমকলের গাড়ি পৌঁছয়। কিন্তু অনেক সময়ে রাস্তায় যানজট থাকার ফলে দমকলের গাড়ি আটকে যায়। এর জেরে কখনও কখনও ইঞ্জিনের পৌঁছতে দেরি হয়। গ্রিন করিডর থাকলে দ্রুত সেখানে পৌঁছনো যাবে।’ কলকাতা পুলিশ বা দমকল, যারাই আগুন লাগার খবর আগে পাবে, পারস্পরিক সমন্বয় রেখে সেই দফতর কাজ করবে বলে তিনি জানান।
দমকলের কন্ট্রোল রুম থেকে আগুনের খবর, এবং কোন স্টেশন থেকে দমকলের ইঞ্জিন যাবে তা জানিয়ে দেওয়া হলে রাস্তায় থাকা ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আবার আগুন লাগার ঘটনার গুরুত্ব বুঝে পুলিশ জিপিএসের মাধ্যমে দমকলের গাড়ির অবস্থান জেনে ট্র্যাফিক সিগন্যাল সবুজ করে রাখলে দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বাগড়ির অগ্নিকান্ড বা হালেই মেট্রোতে আগুন লাগার মতো ঘটনাগুলিকে যে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে প্রশাসন, তা বলাই বাহুল্য।