স্নেহের মত আপাতত তাপমাত্রার পারদও নিম্নগামী। বড়দিনের উৎসবের আবহে কনকনে ঠাণ্ডা অতটা বোঝা না গেলেও শীত যে রীতিমত জাঁকিয়ে বসেছে তা এবার বেশ বোঝা যাচ্ছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে গতকাল কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেই সুবাদে শুক্রবারই ছিল গত পাঁচ বছরের নিরিখে শহরে ডিসেম্বরের শীতলতম দিন।
গোটা বাংলাই এখন শীতের কবলে। কলকাতার অদূরেই ব্যারাকপুরে গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বহরমপুরের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ৭.২ ডিগ্রিতে। কোচবিহার ৮.৩ ডিগ্রি, বর্ধমান ৮.৮ ডিগ্রি, বাঁকুড়া ৯.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে। দক্ষিণবঙ্গের অনেক জেলায় তো ইতিমধ্যেই ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা। সেখানকার পারদও এর মধ্যেই ৭ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ শনিবার ও রবিবার তাপমাত্রার পারদ আরও কমবে। নতুন বছরের প্রথম দিন পর্যন্ত শীত বজায় থাকবে কনকনে ঠান্ডায়। পানাগড়, বীরভূম, পুরুলিয়া, বর্ধমানে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহ রয়েছে। তার কিছুটা প্রভাব পশ্চিমের জেলাগুলিতে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এক আবহাওয়া বিজ্ঞানী জানান, বেশ কয়েক বছর ডিসেম্বরে টানা এতদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে থাকেনি। তাই এ বছর কলকাতাবাসী পুরোমাত্রায় শীত পাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে নতুন করে কোনও নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি না হলে বর্ষবরণের রাতে শহরের তাপমাত্রা নামতে চলেছে ১০ ডিগ্রিতে।
অন্যদিকে পাহাড়ে শুরু হয়েছে তুষারপাত। দার্জিলিঙে বৃষ্টির সঙ্গে চলছে ঝিরঝিরে তুষারপাত। পাহাড়ের অনেক জায়গার তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে। পাশাপাশি হাড়কাঁপানো শীতের সঙ্গে বৃষ্টিতে কাঁপছে কালিম্পং। সিকিমের লাচেন–লাচুং ও গ্যাংটকেও শুরু হয়েছে তুষারপাত। সান্দাকফুতেও হয়েছে তুষারপাত। এ বছর দার্জিলিং শহরের তুষারপাত আলাদা উন্মাদনা তৈরি করেছে পর্যটকদের মধ্যে।