এমনিতেই কুয়াশা, তার ওপর ট্রেনের পার্সেলভ্যানে পণ্য বোঝাই করার জন্যে নির্ধারিত সময়ের অনেক বেশি সময় লাগার ফলে অহেতুক লেট, এই দুইয়ের সাঁড়াশি আক্রমণে নাকাল হচ্ছেন যাত্রীরা। তাঁরা এই নিয়ে তাঁদের ক্ষোভ উগড়ে দিলেও এক শ্রেণীর গার্ড, চালক, স্টেশন মাস্টার ও আরআরআই কর্মীরা খুব একটা পাত্তা দিচ্ছেন না। এর ফলে যাত্রী সুবিধার দিকে রেল তথা কেন্দ্র যে যথাযথ গুরুত্ব দেন না, তা আবারও সামনে এল।
শুধু তাই নয়, রেলকর্মীদেরই হাত যশে রেকরডে পড়ছে ভুল তথ্য। দূরপাল্লার মেল, এক্সপ্রেসগুলির পার্সেল ভ্যানে বিভিন্ন স্টেশন থেকে পণ্য পরিবহণে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়। এই আইনবিরুদ্ধ কাজের জন্যে টাকা নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে রেলকর্মীদের একাংশের দিকে। আর এই ‘ইচ্ছে লেট’-এর দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে সিগন্যালের ওপর।
দীর্ঘ যাত্রাপথে সিগন্যালের ভুল তথ্য দিলেও তা ধরা সম্ভব নয়। আর তারই সুযোগ নিচ্ছে কিছু অসাধু রেলকর্মী। ভুল তথ্য দেওয়ার জন্যে ক্লিয়ার সিগন্যালকে ‘অন অ্যাপ্রোচ’ দেখানো হচ্ছে। অন মানে এক্ষেত্রে লাল। এখানে সবুজ সিগন্যালকে চালক ইচ্ছাকৃতভাবে লাল সিগন্যাল দেখিয়ে ট্রেনের গতি কমানোর রেকর্ড রাখেন, সিগন্যালের কাছে পৌঁছানোর সময় তা হলুদ বা সবুজ দেখানো হয়। ফলে ট্রেনটি ‘ডেড স্টপ’ দেখানো হল না, অথচ বেশ খনিকক্ষণ সময় নষ্ট দেখিয়ে দেওয়া গেল।
শীতের প্রকোপে সঙ্গে কুয়াশার জুলুম তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এই কারসাজিতে কোনও ট্রেনই সঠিক সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারছে না। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যাত্রী ক্ষোভ। যদিও বা রেল কর্তৃপক্ষ তখনও ভুয়ো রিপোর্টেই মজে থাকছেন।