কথায় আছে ওস্তাদের মার শেষ রাতে! ঠিক তেমনই বছরের একেবারে শেষলগ্নে জমিয়ে দিচ্ছে শীত। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, রাজ্যে আরও বাড়তে চলেছে ঠান্ডার দাপট।
দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ক্রমশ নামছে পারদ। ফলে উত্তরবঙ্গে ঠান্ডার মাত্রা আরও বেড়ে প্রায় শৈত্যপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এই আবহাওয়ার জেরে গতকাল প্রায় সারাদিনই তুষারপাত চলেছে দার্জিলিংয়ে। সেখানে তাপমাত্রা এতটাই নীচে নেমে গেছে যে ঘরের ছাদে-চালে, গাছের পাতায় মেখে থাকা শিশির সাদা বরফ হয়ে যাচ্ছে। বরফে ঢেকেছে ঘুম স্টেশনও। এমন বরফের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে প্রবল কুয়াশার দাপটও দেখা যাবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। আগামী ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর এই কুয়াশার দাপট সবচেয়ে বেশি থাকবে।
আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে ১ থেকে ১.৫ ডিগ্রি নিচে থাকবে। যার ফলে কলকাতা সহ-দক্ষিণবঙ্গে ঠাণ্ডার প্রকোপ ভালই অনুভূত হবে। উত্তর ভারত-পশ্চিম ভারতে হওয়া শৈত্যপ্রবাহের জেরেই কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে নিচে থাকবে বলে জানা গেছে।
ইতিমধ্যেই দমদম, বহরমপুর, হলদিয়া, ডায়মন্ডহারবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির আশপাশে রয়েছে। কৃষ্ণনগর, ব্যারাকপুরের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতে ঘোরাফেরা করছে। ক্যানিংয়ের তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রির আশাপাশে ঘোরাফেরা করছে। কাঁথির সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ১৩ ডিগ্রির আশপাশে। অন্যদিকে গতকাল, ২৭ তারিখ ভোরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। তাই বর্ষশেষে এখন শীতের আমেজেই মাতছে রাজ্যবাসী।