২০১২ সালের পরে এই প্রথম বার অরুণাচলের পার্বত্য এলাকা দিবাং ভ্যালিতে দেখা মিলল বাঘের। তিন বছর ধরে চালানো ক্যামেরা ট্র্যাপিং ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরা জানালেন, ওই এলাকার পাহাড়ে দু’টি শাবক সহ অন্তত ১১টি রয়্যাল বেঙ্গলের বাস।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১২ সালে। সেই বছরে ওই এলাকার এক গ্রামে এক বাঘিনী তার তিন শাবককে নিয়ে ঢুকে পড়েছিল। গ্রামবাসীরা বাঘিনী এবং এক শাবককে হত্যাও করে। বাকি দুটি বাঘকে উদ্ধা করে ইটানগর চিরিয়াখানায় আনা হয়। তারপরেই ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানী জি ভি গোপী ও গবেষক আইসো শর্মা ২০১৫ সালে মিশমি পাহাড় ও দিবাং অভয়ারণ্যের ৩৩৬ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বাঘের সন্ধানে ট্র্যাপ ক্যামেরা পাতেন। ১০৮টি ক্যামেরায় বছর তিনেকে বন্দি হয়েছে ৪২টি ছবি। তা যাচাই করে দেখা যায়, দু’টি শাবক-সহ ১১টি বাঘ ও বাঘিনী সেখানে রয়েছে। বরফ জমা ১১ থেকে ১২ হাজার ফুট উপরে তাদের বিচরণক্ষেত্র।
বিশেষজ্ঞরা জানান, বাঘের বিচরণ ক্ষেত্র ভুটানে ৯৮০০ ফুট পর্যন্ত। সেখানে একবার ১৩ হাজার ফুট উচ্চতাতেও বাঘের ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল। কিন্তু অরুণাচলের এই উচ্চতায়, এতগুলি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দেখা মেলা একেবারেই বিরল ঘটনা। পা ডুবে যাচ্ছে বরফে, তার মধ্যেই এগিয়ে চলেছে সে। আসেপাশে আরও পায়ের ছাপ। ট্র্যাপিং করা ক্যামেরাতে উঠে এল বাঘের এমনই সব ছবি।