এবার প্রকাশ্যে চলে এল বিজেপি-আরএসএস তরজা। রামমন্দির থেকে সরকার চালানোর পন্থা – কোনও বিষয়েই আর সঙ্ঘ এবং বিজেপি একমত হতে পারছে না। ৯ ডিসেম্বর সঙ্ঘ ও বিজেপি নেতাদের মধ্যে সমন্ময় বৈঠক হয়। সেখানেই দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক ঠোকাঠুকি হয়েছে বলে খবর।
আরএসএস মনে করছে, বিজেপি ও কেন্দ্র যেভাবে চলছে তাতে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন জেতা কঠিন। তারই ফল মিলেছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে। তবে সঙ্ঘের এই মূল্যায়নের সঙ্গে একমত নন মোদী-শাহ। তাঁদের মতে, পাঁচ রাজ্যের ভোটের ঠিক আগেই রাম মন্দির নিয়ে আরএসএস-এর বাড়াবাড়ি করাটা ঠিক হয়নি। হার সেই কারনেই। কিন্তু আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নিজেদের দাবিতেই স্থির থাকেন। তাঁদের মতে, এই বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। শুধু পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগেই নয়, লোকসভা ভোটের আগেও রামমন্দির নিয়ে দাবিকে আরও উচ্চগ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। অমিত শাহের মতে, এত জোরালোভাবে রামমন্দিরের দাবি তোলায় সরকারের অন্যান্য কাজ ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, রাম মন্দিরই একমাত্র অ্যাজেণ্ডা। এসবের মধ্যেই আবার বিজেপির শরিক শিবসেনা রামমন্দির নিয়ে বিজেপিকে বিঁধে ‘সামনা’য় লিখেছে, রামমন্দিরের আশ্বাস একটা জুমলা। লোকসভা ভোটে রামমন্দিরই ডোবাবে বিজেপিকে।
ওই বৈঠকে উপস্থিত আরএসএস নেতারা বলেন, পাঁচ রাজ্যের ফলাফলের প্রবণতা অন্য জায়গাতেও বহাল থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ২০১৯-এর ভোটে বিজেপির জেতা মুশকিল। তাঁরা চাইছেন, হিন্দুত্ব নিয়েই ২০১৯-এর ভোটে যাক বিজেপি। সেই জন্যই তাঁরা রাম মন্দির আবহ তৈরি করছেন। এই অবস্থায় বিজেপি ও সঙ্ঘের বিরোধ কতদূর গড়ায় সেটাই এখন দেখার।