মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কল্যাণে ইতিমধ্যেই উন্নয়ন এবং প্রসার ঘটেছে বাংলার হ্যান্ডলুম এবং সূচিশিল্পেরও। তাঁর অনুপ্রেরণাতেই এবার রাজ্যের এই সমৃদ্ধ হ্যান্ডলুম ও সূচিশিল্পের আরও প্রসার ঘটাতে এবং সংরক্ষণের লক্ষ্যে এগিয়ে এল দেশের সব থেকে প্রাচীন বণিকসভা, বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। এই বিষয়ে তারা ‘দ্য বেঙ্গল ফ্যাশন হেরিটেজ ২০১৮’ (টিবিএফএইচ) নামে একটি উদ্যোগ নিয়েছে।
সোমবার বাইপাস সংলগ্ন একটি পাঁচতারা হোটেলে এক সাংবাদিক বৈঠক করে এই উদ্যোগের নানা দিক তুলে ধরেন ওই বণিকসভার নারী ক্ষমতায়ন কমিটির প্রধান এবং টিবিএফএইচ-এর প্রতিষ্ঠাতা-অধিকর্তা রুপালি বসু। তিনি বলেন, ‘আমরা হ্যান্ডলুম শিল্পের পাঁচটি ধারার উপর জোর দেব। এগুলি হল কাঁথা স্টিচ, জরির কাজ, ব্লক প্রিন্ট, বাটিক এবং অন্যান্য সূচিশিল্প। এই সব শিল্পীরা অসংগঠিত ক্ষেত্রে থাকায় এদের হয়ে বলার কেউ নেই। সেই কারণেই এই সব শিল্পীদের পুনরুজ্জীবনের জন্য মঞ্চ গড়লাম।’
‘ফ্যাশন হেরিটেজ’-এর উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে তিনি আরও বলেন যে, ‘হ্যান্ডলুম শিল্পীরা এখন থেকে সেরা ডিজাইনারদের সঙ্গে সৃজনশীল চিন্তাভাবনা আদানপ্রদান করতে পারবেন। এর পাশাপাশি আমাদের অনলাইন স্টোর থেকে তাঁদের তৈরি পরিধান দেশের নানা প্রান্তের ক্রেতারা সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রাধান্য পাবে শাড়ি ও ড্রেস মেটেরিয়াল। দামের ক্ষেত্রেও আমরা সব ধরনের ক্রেতার কথাই খেয়াল রাখব। আমাদের আশা, সরকারের কাছ থেকে যে অনুদান পেয়েছি, তার সরাসরি সুফল পাবেন শিল্পীরাই।’
জানা গেছে, এই উপলক্ষ্যে আগামী শনিবার ওই হোটেলেই বেঙ্গল চেম্বার আয়োজন করেছে ‘ওয়াক ইন উইন্টার সিল্ক’ শীর্ষক এক ফ্যাশন শোয়ের। সেখানে সিল্কের নানা রকম পোশাক পরিধান করে পিঙ্কি কেনওয়ার্দির কোরিওগ্রাফিতে র্যাম্প ওয়াক করবেন শহরের ২৪ জন বিশিষ্ট ফ্যাশন মডেল। সেইসব পোশাক তৈরির দায়িত্বে আবার রয়েছেন শহরের ১২ জন বিশিষ্ট ফ্যাশন ডিজাইনার। এরা হলেন শর্বরী দত্ত, বাপ্পাদিত্য বিশ্বাস, চিন্ময় ও মীরা বসু, মালিকা ভার্মা, পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তন সরকার, প্রণয় বৈদ্য, কবিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, একতা ও রুচিরা, আয়ুষ্মান মিত্র, আদর্শ মাখারিয়া এবং অভিষেক রায়। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রায় ৭০জন শিল্পীও।