এনআরসিকে কেন্দ্র করে আসামে এখন যে পরিস্থিতি চলছে, তার জন্য বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি ও ভুল পন্থাকেই দায়ী করলেন আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ। ‘জাতীয় নাগরিকপঞ্জি, গণহত্যা ও আত্মহত্যা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় যোগ দিতে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এসে গগৈয়ের দাবি, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন আদালতে হলফনামা দিয়েছিলাম, এনআরসির খসড়া তৈরিতে ২০১৪-র ভোটার তালিকাকে মান্যতা দেওয়া উচিত। কারণ নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা।’
দলিত ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন পরিষদ আয়োজিত এই বিতর্কসভায় গগৈ দু’-একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের প্রশ্নের মুখে পড়েন। নেলি গণহত্যার প্রসঙ্গ ওঠায় তাঁকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। আবার আসামে বাঙালিদের সার্বিক অবস্থা নিয়ে তাঁর কিছু মতের সঙ্গে সহমত হতে পারেননি কেউ কেউ। মেজাজ হারালেও পরে অবশ্য সংবাদমাধ্যমের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। তিনি জানান, ‘প্রায় ৪০ লক্ষ নাম বাদ পড়লেও নতুন করে আবেদন করা মানুষের সংখ্যা মোটে ১২ লক্ষ কেন, তা আমার কাছে বিস্ময়ের।’
ওই আলোচনাসভায় প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের বলেন, ‘এনআরসি শুধু আসামের বিষয় নয়, এটি একটি জাতীয় ইস্যু। আসামে এত মানুষ আত্মহত্যা করছেন, এত কিছু ঘটছে, অথচ সরকার সুপ্রিম কোর্টের ওপর দায় চাপিয়ে দিয়ে বলছে এনআরসি নিয়ে যা হচ্ছে সবই শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে!’ আবার সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদ বলেন, ‘অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পগুলোতে দুঃসহ যন্ত্রণায় দিন কাটাতে হচ্ছে মানুষকে। ১০০টি ফরেনার্স ট্রাইবুনালের অধিকাংশই প্রত্যন্ত অঞ্চলে। যাঁরা সেখানে বিচারক, তাঁরা রাজ্য সরকার নিযুক্ত আধিকারিক।’