সন্তোষ ট্রফির প্রথম ম্যাচে শনিবার পঞ্জাবকে ১-০ গোলে হারিয়েই কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য-সহ বাংলা দলের কর্তারা ছুটেছিলেন কেরল বনাম রাজস্থান দ্বৈরথ দেখতে। মঞ্জেরির দর্শকপূর্ণ স্টেডিয়ামে আই এম বিজয়নের রাজ্যের দলের ৫-০ গোলে জয় দেখে কি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তাঁরা? আজ, সোমবার এই কেরলের বিরুদ্ধে খেলতে হবে বাংলাকে। জিতলে সেমিফাইনাল কার্যত নিশ্চিত।
সোমবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে নেরোকা এফসিকে হারিয়ে মহমেডান ফের আই লিগ টেবলের শীর্ষ স্থানে উঠে আসতে মরিয়া। কোচ আন্দ্রেই চের্নিশভ বলেছেন, ‘‘আমদের লক্ষ্য শীর্ষ স্থানে থাকা। আশা করছি, সোমবার জিতেই মাঠ ছাড়তে পারব।’’
রবিবার সকালে প্রায় তিরিশ কিলোমিটার দূরে কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে অনুশীলনের পরে ফোনে আনন্দবাজারকে বাংলার কোচ বললেন, ‘‘এই ম্যাচে আমরা আরও ভাল ফুটবল উপহার দেব।
আগের খেলার ভুলভ্রান্তি শুধরে নিয়েই মাঠে নামবে দল। কেরলকে হারিয়ে সোমবারই আমরা সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে ফেলতে চাই।’’ প্রথম ম্যাচে বাংলা দলকে সমস্যায় ফেলেছিল আবহাওয়া, বল ও ছোট মাঠ।
কেরলের বিরুদ্ধে খেলা রাত আটটায়। রঞ্জন বললেন, ‘‘পঞ্জাবের বিরুদ্ধে সকাল সাড়ে ন’টায় প্রচণ্ড গরমে খেলা খুবই কষ্টের ছিল। তা ছাড়া মাঠও একটু ছোট ছিল। এ বার সেই সমস্যা হবে না।’’ ঘরের মাঠে নিজেদের প্রায় ২২ হাজার সমর্থকদের সামনে খেলবে কেরল। এই চাপ সামলানো বাংলার ফুটবলারদের পক্ষে কতটা কঠিন? কোচের কথায়, ‘‘দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা কখনও উপভোগ করে না ফুটবলাররা।’’
বিজয়নের সামনেই রাজস্থানের বিরুদ্ধে কেরলের জিজু জোসেফ হ্যাটট্রিক করেছিলেন। বিপক্ষের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে আটকানোর কী পরিকল্পনা রয়েছে? বাংলার কোচ বললেন, ‘‘রাজস্থান ওকে খেলার জায়গা দিয়েছিল। আমরা সেই ভুল করতে চাই না।’’