মার্চে পাইকারি মূল্য সূচকের মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে ১৪.৫৫ শতাংশ। অপরিশোধিত তেল এবং ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্যই উর্ধ্বগামী হয়েছে পাইকারি মূল্য সূচক। যদিও বর্তমানে শাকসবজির দাম কমেছে কিছু পরিমাণে। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার এই তথ্য জানিয়েছে। ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে পরপর ১২ মাস পাইকারি মূল্যসূচকের মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে দুই অঙ্কে। গত নভেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছিল ১৪.৮৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছিল ১৩.১১ শতাংশ। গত বছরের মার্চে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছিল ৭.৮৯ শতাংশ।
চলতি বছরের মার্চে খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতি হয়েছিল ৮.০৬ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে ওই মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৮.১৯ শতাংশ। মার্চে শাকসবজির মুদ্রাস্ফীতি হয়েছিল ১৯.৮৮ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে শাকসবজির মুদ্রাস্ফীতি ছিল ২৬.৯৩ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৯.৮৪ শতাংশ। মার্চে তা বেড়ে হয় ১০.৭১ শতাংশ। ওই সময় জ্বালানির দাম বাড়ে ৩৪.৫২ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছিল ৫৫.১৭ শতাংশ। মার্চে তা বেড়ে হয় ৮৩.৫৬ শতাংশ।
মার্চে পাইকারি মূল্যসূচকে মুদ্রাস্ফীতি হয় ৬.৯৫ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতির জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ‘টলারেন্স লেভেল’ অর্থাৎ সহ্যসীমা স্থির করেছিল ছয় শতাংশ। পরপর তিন মাস পাইকারি মূল্যসূচকে মুদ্রাস্ফীতি টলারেন্স লেভেল ছাড়িয়ে গিয়েছে। অতিমহামারীর ধাক্কা সামলে যাতে অর্থনীতির ফের বিকাশ ঘটে, সেজন্য এপ্রিলের শুরুতে রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।