‘হে বন্ধু, মনে পড়ে সেই রাত। সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতি।’ – এমনই স্মৃতিমেদুরতায়, সহমর্মিতায় সঙ্গীর প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা জানিয়ে কাব্যের ভাষায় অতীত দিনের কথা মনে করলেন জননেতা মদন মিত্র। বই লিখছেন কামারহাটির বিধায়ক। নাম -‘প্রিয় মমতা’।
প্রিয় মমতা’ নামের বইটির ৮০ শতাংশ জুড়েই থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাকি ২০ শতাংশে তবে কী আছে? মদন মিত্রর কথায়, ‘‘আমরা কীভাবে বাঁদর থেকে মানুষ হলাম, সেই কথা থাকবে।’’ অতীতের সঙ্গে ভবিষ্যতের ইঙ্গিত সম্বলিত বইটি ২৫ বৈশাখের মধ্যেই প্রকাশ করার চেষ্টা করছেন দুই বিধায়ক।
তাঁর সঙ্গী আরেক বিধায়ক তাপস রায়। বৃহস্পতিবার কলেজ স্কোয়্যারে বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্যাম্পে বসে তৃণমূলের দুই বিধায়ক লিখে ফেললেন বইয়ের প্রথম লাইন। কলেজ স্কোয়্যারে বইমেলায় প্রায় ৯৯টি স্টল থাকছে।
বৃহস্পতিবার কলেজ স্কোয়ারে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে বইমেলার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানান উদ্যোক্তারা। সেখানে মদন মিত্র, তাপস রায়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নির্মল মাজি, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি সুধাংশুশেখর দে, বঙ্গীয় প্রকাশক ও পুস্তকবিক্রেতা সভার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ, সাহিত্যিক পৃথ্বীরাজ সেন।
ইংরেজি, বাংলা প্রকাশনা সংস্থা তো থাকছেই। পাশাপাশি, জেলারও বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার স্টল থাকছে মেলায়। মেলার দিনগুলিতে কবিতা, সাহিত্য সম্মেলন ও বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করা হবে। বাংলা নববর্ষে বইমেলা থেকে এক হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে বর্ণপরিচয় দেওয়া হবে।
শুক্রবার থেকে কলেজ স্কোয়্যারে শুরু হচ্ছে বইমেলা ও সাহিত্য উৎসব। পাবলিশার্স ও বুকসেলার্স গিল্ডের উদ্যোগে এই বইমেলার আয়োজন করেছে বঙ্গীয় প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা সভা। কলেজ স্কোয়্যারে সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সহযোগিতায় আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে সন্ধে ৮টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা।