মাছ বিক্রেতা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংসার চালানোর দায়িত্ব নিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। মাছ বিক্রি করে সংসার চালাতেন বীরভূমের সিউড়ির এক নম্বর ব্লকের কড়িধ্যা গ্রামের বাসিন্দা দেবাশিস দাসকে। এ বারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সে। মাছ বিক্রি করে পরীক্ষা দিতে যেতে হয়। পরীক্ষার সময় যাতে সংসারের চাপে পড়াশুনার ক্ষতি না হয়, তাই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। পরীক্ষার দিন গুলোতে তাঁর সংসার চালানোর দায়িত্ব নিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
পাশাপাশি তাঁর দায়িত্ব নিয়েছে দেবাশিসের কলেজের সমস্ত পড়াশোনার। দেবাশিস কড়িধ্যা যদুরায় মেমোরিয়াল অ্যাণ্ড পাবলিক ইন্সটিটিউশনের ছাত্র৷ এ বছর সে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। তাঁর পরিবারে রয়েছেন দু’জন। দিদি এবং দিদা। সংসারের হাল ধরতে গত প্রায় দুবছর ধরে মাছ বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে সে। দেবাশিস জানিয়েছে, দু’টি পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। এরপর ১৬ এপ্রিল রয়েছে পরবর্তী পরীক্ষা। সে পরিকল্পনা করেছিল পরীক্ষার দিনগুলি বাদ দিয়ে বাকি দিনে মাছ বিক্রি করবে। এই ক’দিন কষ্ট করেই চলবে সংসার। সেই খবর পান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউ।
বিক্রমজিৎ সাউ নিজে অই পড়ুয়ার বাড়ি যান। সমস্যার কথা শোনেন। পাশাপাশি আশ্বাস দেন, এই কয়েকদিন দেবাশিসের যা যা প্রয়োজন সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা তাঁরা করবেন । কিন্তু সে যেন মাছ না বিক্রি করে । পাশাপাশি তার কলেজের পড়ার খরচের দায়িত্ব নেন। বিক্রমজিৎ সাউ বলেন , “আমি সকালে খবর শুনেই ওঁর বাড়ি গিয়ে কথা বলেছি। পরিবারের পাশে থাকতে পেরে আমরাও খুব আনন্দিত।”
অন্যদিকে দেবাশিস বলেন, ‘মাছ না বিক্রি করলে সংসার চলবে কিভাবে? তাই বাধ্য হয়ে মাছ বিক্রি করতে যাব ভেবেছিলাম। কিন্তু দাদা দায়িত্ব নেওয়ায় আমিও খুব খুশি। এই ক’দিন মন দিয়ে পড়াশুনা করতে পারব। তাতে আগামী পরীক্ষা গুলো ভালোভাবে দিতে পারব’।