পাঁচ রাজ্যে হারের পরেই দলের অন্দরে অসন্তোষ মাথাচাড়া দিয়েছে। দলীয় কর্মীরাই মোদী-শাহের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন। এবার গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্যে সমালোচনার বাক্যবান ছুঁড়ে দিলেন জোট শরিক শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘বিজেপি মুক্ত দিন আসছে’।
বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ‘বিজেপির কংগ্রেস মুক্ত ভারতের স্বপ্ন ব্যর্থ হয়েছে। এখন মানুষ বিজেপি মুক্ত প্রতিষ্ঠান চাইছে। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলেই তা স্পষ্ট। যারা হাওয়ায় উড়ছিল তাঁদের মাটিতে টেনে নামিয়েছে মানুষ’।
দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’য় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত প্যাটেলের ইস্তফা, নোটবন্দী, কর্মসংস্থান না হওয়া ইত্যাদি বিষয়কে তুলে ধরে বিজেপি বিঁধে লেখা হয়েছে, ‘চার-পাঁচ জন শিল্পপতির খেয়ালখুশিতে দেশ চলছে। তার ফলে আরবিআই-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানও সমস্যার মুখে। নোটবন্দীর ফলে দেশের অর্থনীতিও ধবংসের মুখে। কর্মসংস্থান হচ্ছে না। মুদ্রাস্ফীতির জেরে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। অথচ প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে মশগুল। নির্বাচনী প্রচারে শিশুসুলভ কথা বলছেন। নির্বাচনী ময়দানে সেসবই ব্যুমেরাং হয়ে দেখা দিয়েছে’।
পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফল দেখিয়ে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ‘বিজেপি ছাড়া আর কোনও দল পাত্তা পাবে না, জনগণের অস্তিত্ব তাদের ওপর নির্ভরশীল, বিজেপির সেই ধারণা চুরমার হয়ে গিয়েছে। বিজেপি প্রথমে জোট শরিকদের হারিয়েছে। এবার গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলো হারাল’।
নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে খোঁটা দিয়ে উদ্ধব বলেন, ‘বড় বড় বুলি আউরে ভোটে জেতা যায় না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ কংগ্রেসমুক্ত দেশ গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বিজেপির নিজের গড়েই সেই স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়েছে। রাজ্যগুলো এখন বিজেপিমুক্ত জামানার ইঙ্গিত দিচ্ছে’।
বিভাজনের রাজনীতি নিয়েও গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি শিবসেনা। তাদের কথায়, ‘রমণ সিংয়ের জনপ্রিয়তা স্বত্বেও ছত্তিশগড়ে দখল করেছে কংগ্রেস। বিজেপির চাণক্য বিভাজনের রাজনীতির চাল দিয়েছিলেন। কৌশল কাজে আসেনি। মধ্যপ্রদেশেও বিজেপির রথকে আটকে দিয়েছে কংগ্রেস। মানুষকে বোকা বানিয়ে সবসময় জেতা যায় না’।